স্বপ্ন ছিল এভারেস্ট জয়, মিলেছে বেঁচে থাকার খবর, কিন্তু তারপর? আতঙ্কের প্রহর কাটছে পরিবারের

কারোর ইচ্ছে ছিল জয় করবেন এভারেস্ট। কেউবা রোজগারের তাগিদে পারি দিয়ছিলেন নেপালে।  শনিবারের বিধ্বংসি ভূমিকম্পের পর  বেঁচে থাকার খবরটুকু দিতে পেরেছেন বাড়িতে।  কিন্তু তার পর?  কেমন আছেন তাঁরা? দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের।

Updated By: Apr 27, 2015, 10:57 AM IST
স্বপ্ন ছিল এভারেস্ট জয়, মিলেছে বেঁচে থাকার খবর, কিন্তু তারপর? আতঙ্কের প্রহর কাটছে পরিবারের

ব্যুরো: কারোর ইচ্ছে ছিল জয় করবেন এভারেস্ট। কেউবা রোজগারের তাগিদে পারি দিয়ছিলেন নেপালে।  শনিবারের বিধ্বংসি ভূমিকম্পের পর  বেঁচে থাকার খবরটুকু দিতে পেরেছেন বাড়িতে।  কিন্তু তার পর?  কেমন আছেন তাঁরা? দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের।

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে শহর। ভেঙে পড়ছে রাস্তা, মিনার। মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের।

টিভিতে প্রতিবার এই খবর দেখে দুশ্চিন্তা বাড়ছে ওদের। কারণ ঘরের মানুষ এখনও রয়েছে নেপালেই।

পুরুলিয়া থেকে কাঠমান্ডুর কাছে একটি সিমেন্ট কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিলেন পনের জন যুবক। এদের বারোজনই চুনাভাটির বাসিন্দা। দুজনের বাড়ি বড়াবাজারে। একজন পাড়ার বাসিন্দা। ভূমিকম্পের পর ফোন এসেছিল বেঁচে আছি! তার পর!

নেপালে থাকা এই শ্রমিকদের পরিবারগুলি রবিবার দেখা করে জেলাশাসকের কাছে। এই শ্রমিকদের  নিরাপদে  ঘরে ফেরানোর জন্য নয়াদিল্লিতে যোগাযোগ করছে প্রশাসন।

এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন নিয়ে নেপাল গিয়েছিলেন হাওড়ার  মলয় মুখার্জি ও কিরণ পাত্র। ইচ্ছে ছিল পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিন্দুতে প্রিয় ক্লাব মোহন বাগানের পতাকা নিয়ে যাওয়ার।

ভূমিকম্পের পর বাতিল হয়েছে অভিযান। আর উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পরিজনেরা।

পুরুলিয়ার শ্রমিক পরিবার হোক বা উলুবেড়িয়ার পাত্র পরিবার প্রার্থনা এখন একটাই, ঘরের ছেলে সুস্থ ভাবে ঘরে ফিরে আসুক।

 

.