উত্তরবঙ্গে বাড়ছে হাতি, প্রজনন নিয়ন্ত্রণের পথে বন দফতর
উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে বাড়ছে হাতির সংখ্যা। লোকালয়ে বাড়ছে হাতির হানা। বাড়ছে মৃত্যুও। এসবের জেরে উদ্বিগ্ন বন দফতরের কর্তারা। এবার তাই হাতির প্রজনন নিয়ন্ত্রণের পথে রাজ্যের বন দফতর। এধরনের প্রয়াস সারা দেশের মধ্যে প্রথম বলে দাবি করেছেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।
ওয়েব ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে বাড়ছে হাতির সংখ্যা। লোকালয়ে বাড়ছে হাতির হানা। বাড়ছে মৃত্যুও। এসবের জেরে উদ্বিগ্ন বন দফতরের কর্তারা। এবার তাই হাতির প্রজনন নিয়ন্ত্রণের পথে রাজ্যের বন দফতর। এধরনের প্রয়াস সারা দেশের মধ্যে প্রথম বলে দাবি করেছেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।
উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে হাতির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিচ্ছে খাদ্যাভাব। ফলে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতির দল। বসতির কারণে সাফ হয়ে যাচ্ছে জঙ্গল। এতেও সমস্যা বাড়ছে হাতিদের। সব মিলিয়ে বাড়ছে সংঘাত। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় হাতির প্রজনন নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বন দফতর। হাতিদের সংখ্যবৃদ্ধিকেই মূল সমস্যা ধরে নিয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে হাতির জন্ম নিয়ন্ত্রণে।
এর জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে PZP নামে এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন ইনজেকশন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ইনজেকশনের প্রয়োগ করা হলে এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ করতে পারবে না স্ত্রী হাতি। এভাবেই হাতিদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করতে চলেছে বন দফতর। এই প্রকল্পে খরচ হবে আনুমানিক কুড়ি লক্ষ টাকা।
এফভিও- দুহাজার বারো সালের হাতি সুমারি অনুযায়ী গোটা উত্তরবঙ্গে হাতির সংখ্যা ছিল ৫০০। ২০১৪ সালে এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭০০-এর কাছাকাছি। বনমন্ত্রীর দাবি হাতির প্রজনন নিয়ন্ত্রণের এই প্রয়াস দেশের মধ্যে প্রথম।