কিষেণজির মৃত্যু বিতর্ক: এনকাউন্টার নাকি পরিকল্পিত ভাবে খুন?

যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়েই নিহত হন কিষেণজি? নাকি ভুয়ো সংঘর্ষে খুন করা হয় তাঁকে? সাড়ে তিন বছর আগের সেই প্রশ্ন নতুন করে উস্কে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।    

Updated By: Jul 18, 2015, 04:26 PM IST
কিষেণজির মৃত্যু বিতর্ক: এনকাউন্টার নাকি পরিকল্পিত ভাবে খুন?

ব্যুরো: যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়েই নিহত হন কিষেণজি? নাকি ভুয়ো সংঘর্ষে খুন করা হয় তাঁকে? সাড়ে তিন বছর আগের সেই প্রশ্ন নতুন করে উস্কে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।    

২৪ নভেম্বর, ২০১১। পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনির বুড়িশোলের জঙ্গলে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত কিষেণজি। সে দিন এটাই ছিল সরকারের বক্তব্য। মানতে চায়নি মাওবাদীরা। ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠে। সরব হয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও। কিষেণজির মৃত্যু ঘিরে নানা অসঙ্গতিই সাহায্য করে আওয়াজ তুলতে। 

গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হলে যেখানে কিষেণজি পড়েছিলেন তাঁর উল্টোদিকের বড় গাছে কোনও গুলির দাগ ছিল না কেন? কিষেণজির মতো প্রথম সারির মাওবাদী নেতাদের সঙ্গে একাধিক দেহরক্ষী থাকার কথা। কিষেণজি নিহত হলেও তাঁর দেহরক্ষীদের গায়ে গুলি লাগল না কেন? আর কোনও মাওবাদীকে নিহত বা আহত অবস্থায় পাওয়া গেল না কেন? কিষেণজি কি তা হলে একাই যৌথ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছিলেন? কিষেণজি যেখানে মারা যান সেখানে জঙ্গল খুব একটা ঘন ছিল না। জায়গাটাও ছিল রাস্তার কাছে। মাওবাদী শীর্ষ নেতারা সাধারণত এরকম জায়গায় থাকেন না। কিষেণজি কি তা হলে জেনে বুঝেই বিপদ হতে পারে এমন এলাকায় গিয়েছিলেন? ময়না তদন্তে বলা হয়, গুলি যে ভাবে লেগেছিল তা কাছ থেকে না হলে সম্ভব নয়। মাওবাদীদের গুলির মুখে যৌথ বাহিনী কী ভাবে কিষেণজির কাছে যেতে পারল?

কিষেণজির মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে এপিডিআর। সে মামলা এখনও বিচারাধীন।

.