বহিরাগত নয়, লড়েছিল গ্রামবাসীরাই: দাবি কৃষিজমি রক্ষা কমিটির
দুবরাজপুরকাণ্ডে শিল্পমন্ত্রীর দাবিকে ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিলেন কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সভাপতি ফেলারাম মণ্ডল। গতকাল সিউড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, গ্রামবাসীরা নন, বরং বহিরাগতদের নিয়ে পুলিসের ওপর হামলা চালিয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিআইএম।
দুবরাজপুরকাণ্ডে শিল্পমন্ত্রীর দাবিকে ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিলেন কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সভাপতি ফেলারাম মণ্ডল। গতকাল সিউড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, গ্রামবাসীরা নন, বরং বহিরাগতদের নিয়ে পুলিসের ওপর হামলা চালিয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিআইএম। তবে শিল্পমন্ত্রীর সেই তত্ত্ব খারিজ করে দিয়ে আজ ফেলারাম মণ্ডল বলেন, পুলিসের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় রুখে দাঁড়িয়েছিল লোবাগ্রামের বাসিন্দারাই। তাঁর দাবি, গোটা ঘটনার সময়ে গ্রামে কোনও বহিরাগত ছিলেন না। কৃষিজমি বাঁচাতে সোমবার পুলিসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা।
বুধবার লোবা গ্রামের ঘটনায় আহতদের দেখতে সিউড়ি হাসপাতালে গিয়েছিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে গ্রামবাসীদের প্রত্যক্ষ কোনও যোগাযোগ নেই। নির্দোষ গ্রামবাসীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বাইরে থেকে তীর ধনুক এনে যারা প্রশাসন এবম গ্রামবাসীদের মধ্যে বিবাদ করছেন, তারা আর কেউ নয়। তার পিছনে সিপিএম আছে। তার পিছনে কংগ্রেসের একাংশ আছে। তারাই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বলে আমার মনে হয়েছে। এরপরই আজ সকালে ফেলারাম মণ্ডলের বক্তব্য শিল্পমন্ত্রীর অভিযোগকে কার্যত উড়িয়ে দিল।
এদিকে ঘটনার পর ২ দিন কেটে গেলেও আজও থমথমে হয়ে রয়েছে দুবরাজপুরের লোবা গ্রাম। মঙ্গলবার বীরভূমের দুবরাজপুরে প্রথমে গুলি চালনার কথা অস্বীকার করলেও পরে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গুলি চালানোর ঘটনা কার্যত স্বীকার করে নেয় রাজ্য সরকার। তবে ঘটনায় বেশ অসন্তুষ্ট হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। বীরভূম জেলার এসপিকে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।