লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে
বৃষ্টি থামার নাম নেই। নামছে না জলও। জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। দিনের পর দিন জলবন্দি হাজারো মানুষ। তার ওপর বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায়, পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে।
ব্যুরো: বৃষ্টি থামার নাম নেই। নামছে না জলও। জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। দিনের পর দিন জলবন্দি হাজারো মানুষ। তার ওপর বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায়, পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে।
লাগাতার বৃষ্টি। ফুঁসছে রাজ্যের নদীগুলি। নিট ফল, বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি।
বীরভূম-
জলে ভাসছে বীরভূম। পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড এবং বিহারেও লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলাধারগুলিতে চাপ বাড়ছে। একের পর এক ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে, বিপর্যস্ত এই জেলা।
তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় ৫৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বইধারা ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ ২২ হাজার ৮২৮ কিউসেক। ম্যাসাঞ্জোর ব্যারেজ থেকে ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ৮ হাজার ৫৬ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে দেওচা ব্যারেজ থেকে। এছাড়া, হিংলো ব্যারেজ থেকেও ১ হাজার ৮০৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর জেরে নতুন করে ফুলেফেঁপে উঠেছে ময়ূরাক্ষী, সিদ্ধেশ্বরী, ব্রাহ্মণী, দ্বারকা সহ বিভিন্ন নদী। জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট।
গত কয়েকদিনের বিরামহীন বৃষ্টি। সঙ্গে ডিভিসির ছাড়া জল। দুইয়ে মিলে প্লাবিত হুগলির আরামবাগের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলমগ্ন পুড়শুড়া, খানাকুল। পুরো পোলবা ব্লক জলবন্দি। বেশ কয়েকটি রাজ্য সড়কও জলের তলায়।
পুড়শুড়া ও খানাকুলে ১০টির মতো ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে সেখানে। অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গাতেও আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বহু জায়গায়।
বর্ধমান-
লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন বর্ধমানের জামালপুরের কুড়িটি গ্রাম। মেমারি এক ও দু নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। জল জমেছে ভাতারের বেশ কিছু অংশে। ধানচাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কালনা, পূর্বস্থলী, কেতুগ্রামের অবস্থাও ভালো নয়।
পূর্ব মেদিনীপুর-
পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, তমলুক, ময়না, এগরা সহ বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন। তার ওপর লাগাতার বৃষ্টিতে বাড়ছে দুর্ভোগ। গ্রামের পর গ্রাম জলের তলায়। টিউবয়েলগুলিও জলের তলায় চলে যাওয়ায়, পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে বহু জায়গায়।
মুর্শিদাবাদ-
বন্যায় বিপর্যস্ত মুর্শিদাবাদ জেলাও। জল বাড়ছে কান্দি মহকুমায়। প্রায় সব নদীই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভরতপুর, বড়েঞা, হিজলের।