পুলিসকাকুদের হাত ধরে চায়ের কাপ, বাসন ছেড়ে বই, খাতা, কলম ধরবে ২৬ জন শিশু শ্রমিক
পুলিসের মানবিক মুখ। তাঁদেরই উদ্যোগে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে, স্কুলমুখী ২৬ জন শিশু শ্রমিক। একাজ করতে পেরে গর্বের হাসি, বাঁকুড়ার ছাতনা থানার পুলিসকর্মীদের মুখেও। প্রথম পদক্ষেপে সফল, অপারেশন মুসকান।
ব্যুরো: পুলিসের মানবিক মুখ। তাঁদেরই উদ্যোগে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে, স্কুলমুখী ২৬ জন শিশু শ্রমিক। একাজ করতে পেরে গর্বের হাসি, বাঁকুড়ার ছাতনা থানার পুলিসকর্মীদের মুখেও। প্রথম পদক্ষেপে সফল, অপারেশন মুসকান।
বামাপদ, সোনামনি কিংবা শেখ নাজিবুলদের কাছে জীবনের মানে, কাজ। বিশ্রাম নেই। শিক্ষা নেই। খেলা নেই। শুধুই কাজ। সংসারে অনটন ঘোচাতে বাচ্চাদের কঠিন কাজে ঠেলে দিতে বাধ্য হয়েছে ওদের পরিবারও। যে বয়সে হেসেখেলে, পড়াশোনা করে, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখার কথা, তখন ওদেরকে কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে সংসারের গুরুভার। এমনই ২৬ জন শিশু শ্রমিককে চিহ্নিত করে ছাতনা থানার পুলিস শুরু করেছে, অপারেশন মুসকান।
পরিবারকে দিয়ে রীতিমতো অঙ্গীকার পত্র সই করিয়ে, এই শিশুদের স্কুলমুখী করার উদ্যোগ নিয়েছে, ওদের পুলিসকাকুরা। শুধু একদিন নয়, এরপর দরকার পড়লেই পরিবারগুলির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পুলিস। শুধুই সামাজিক দায় নয়, যে প্রতিশ্রুতির প্রতি পরতে ধরা পড়েছে মানবিকতার ছোঁয়াও।