বৃষ্টি থামলেও বন্যার জেরে হুগলিতে নষ্ট ফসল, বিশাল ঋণের বোঝা কৃষকদের মাথায়, বাড়তে পারে শাক-সবজির দাম

বৃষ্টি থেকে আপাতত রেহাই মিলেছে। কিন্তু বন্যা পথে বসিয়েছে হুগলি জেলার কৃষকদের। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষের। একদিকে ফসল নষ্ট, অন্যদিকে মাথায়  বিশাল ঋণের বোঝা। ক্ষতি কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে, সেই দুশ্চিন্তা তাঁদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। বন্যার জেরে বাজারে শাক-সবজির দাম বাড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন সাধারণ মানুষও।

Updated By: Oct 29, 2013, 07:26 PM IST

বৃষ্টি থেকে আপাতত রেহাই মিলেছে। কিন্তু বন্যা পথে বসিয়েছে হুগলি জেলার কৃষকদের। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষের। একদিকে ফসল নষ্ট, অন্যদিকে মাথায়  বিশাল ঋণের বোঝা। ক্ষতি কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে, সেই দুশ্চিন্তা তাঁদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। বন্যার জেরে বাজারে শাক-সবজির দাম বাড়ার আশঙ্কায় ভুগছেন সাধারণ মানুষও।
হুগলি জেলায় ২০ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকার ধান জলে গিয়েছে। বলছে সরকারি হিসেব। বর্ষা চলে গেলেও অকাল বৃষ্টি এবং ডিভিসি-র ছাড়া জল, এখনও এই দুইয়ের মাশুল দিচ্ছেন জেলার কৃষকরা।
বন্যায় ৮ হাজার ৬৭১ হেক্টর জমিতে আমন ধান নষ্ট হয়েছে।  
আউশ ধান নষ্ট হয়ে গেছে ৭০০ হেক্টর জমির।
খানাকুল, পুরশুড়া, আরামবাগ সহ বহু এলাকায় চাষের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত। জমিতেই পচে গেছে শাকসবজি।   
খানাকুল- এক নম্বর ব্লকে ২হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। সবজি নষ্ট হয়েছে ২০০ হেক্টর জমির।
খানাকুল দু নম্বর ব্লকে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে ধান, প্রায় ৪০০ হেক্টরে সবজি নষ্ট হয়েছে।
পুরশুড়ায় ধান নষ্ট হয়েছে ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমির। এখানে ২০ হেক্টর জমির সবজি জলে গেছে।
আরামবাগে ৪০০ হেক্টর জমির ধান এবং ১০ হেক্টর জমির সবজি  পচে গেছে।
 যা অবস্থা তাতে কৃষকদের এখন মাথায় হাত। আলুচাষের সময় চলে এলেও জেলায় এখনও তার কোনও প্রস্তুতি শুরু করা যায়নি। বহু জমিতে জল দাঁড়িয়ে। কবে কাজ শুরু করা যাবে, বুঝতে পারছেন না কৃষকরাও। অনেকেই চাষের আশা  ছেড়ে দিয়েছেন। পেট চালানোর তাগিদে গ্রাম থেকে তাঁরা এখন শহরে পাড়ি দিচ্ছেন।
 
বন্যার প্রভাব শুধু কৃষকদের ওপরই নয়, পড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের ওপরেও। আগুনে বাজারে ঘৃতাহুতির কাজ করবে কৃষিতে এই সঙ্কট। চাল, ডাল থেকে শাকসবজি, সবেরই দাম যে আরও লাগামছাড়া হতে চলেছে, তাতে সন্দেহ নেই।
 

.