বনমন্ত্রী-বনকর্তা বিবাদ
বেআইনি করাত কল বন্ধের অভিযান ঘিরে বনমন্ত্রী এবং প্রধান মুখ্য বনপালের সংঘাত চরমে উঠল। মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বনমন্ত্রী নালিশ জানানোর পরই, হিতেন বর্মনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন প্রধান মুখ্য বনপাল এম এ সুলতান। অন্যদিকে পাল্টা কৌশল নিলেন বনমন্ত্রী। প্রধান মুখ্য বনপাল-সাধারণ পদে তুলে আনা হল অতনু রাহাকে।
বেআইনি করাত কল বন্ধের অভিযান ঘিরে বনমন্ত্রী এবং প্রধান মুখ্য বনপালের সংঘাত চরমে উঠল। মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বনমন্ত্রী নালিশ জানানোর পরই, হিতেন বর্মনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন প্রধান মুখ্য বনপাল এম এ সুলতান। অন্যদিকে পাল্টা কৌশল নিলেন বনমন্ত্রী। প্রধান মুখ্য বনপাল-সাধারণ পদে তুলে আনা হল অতনু রাহাকে।
করাতকলের লাইসেন্স দেবে সেন্ট্রাল এমপাওয়ার্ড কমিটি। ২০০২ সালেই জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৬ জানুয়ারি বেআইনি করাতকল বন্ধের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টও। ৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিয়ে ৫ দিনের মাথায় বেআইনি করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করতে রাজ্যের প্রত্যেক ডিএফওকে নির্দেশ দেন প্রধান মুখ্য বনপাল এম এ সুলতান। এখান থেকেই বনমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাদের সূত্রপাত। অভিযোগ, এরপর গত বুধবার নিজের ঘরে ডেকে বনমন্ত্রী তাঁকে অভিযান বন্ধ করতে নির্দেশ দেন।
এখানেই শেষ নয়, রাজি না হওয়ায় মন্ত্রী তাঁকে হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ।
বনমন্ত্রীর দাবি, হুমকি নয়, সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে অভিযান কেন শুরু করা হয়েছে, তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন করেছেন প্রধান মুখ্য বনপালকে। এর জেরে শনিবার বনমন্ত্রীকে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। প্রধান মুখ্য বনপালও মুখ্যমন্ত্রী কাছে সমস্ত নথিই পাঠিয়ে দেন। বৈঠকের পর মুখ খুলতে চাননি বনমন্ত্রী। তবে প্রধান মুখ্য বনপাল এম এ সুলতানকে কার্যত পাল্টা চাপ দিলেন বনমন্ত্রী। শনিবারই প্রধান মুখ্য বনপাল-সাধারণ পদে নিয়ে আসা হল অতনু রাহাকে। সে ক্ষেত্রে বন দফতরের প্রশাসনিক দায়িত্ব আসলে কার হাতে থাকবে ইতিমধ্যেই সে প্রশ্ন উঠে গেছে। যদিও মন্ত্রীর বিরোধিতা সত্ত্বেও বেআইনি করাতকল অভিযান অব্যাহত।