জামিন না পেয়েও মুক্ত খুনের আসামী
খুনের মামলায় অভিযুক্ত আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ আদালতের বিচারপতিরা জামিন নাকচ করে দিয়েছিলেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা কলকাতা হাই কোর্টের। আর ঘটনা নজরে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ।
খুনের মামলায় অভিযুক্ত আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ আদালতের বিচারপতিরা জামিন নাকচ করে দিয়েছিলেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা কলকাতা হাই কোর্টের। আর ঘটনা নজরে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ।
সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের জেরে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল পুলিসের কনস্টেবল অসীম দামকে। গত মার্চ মাসে দোলের দিন বিশরপাড়া এলাকার এই ঘটনায় যথেষ্টই তোলপাড় হয়েছিল প্রশাসনিক মহলে। প্রথমে ওই ঘটনার তদন্ত বিধানগর পুলিস কমিশনারেট করলেও পরে তদন্তভার নেয় সিআইডি। কমিশনারেট এবং সিআইডি মিলিয়ে গ্রেফতার হয় দশজন অভিযুক্ত। তিন জনকে পলাতক উল্লেখ করে সিআইডি ওই ঘটনায় চার্জশিটও পেশ করে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে তার পরেই। গত ২১ জুন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অসীম রায় ও বিচাপতি তফিকউদ্দিনের আদালতে জামিনের আবেদন জমা পড়ে। জেলবন্দি ১০ অভিযুক্তদের মধ্যে একজন, প্রসেনজিত্ দত্ত ওরফে পঙ্কার তরফ থেকে এই আবেদন জানানো হয়। বিচারপতিরা জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। কিন্তু এরপরেই বিশরপাড়া এলাকায় ঘুরতে দেখা যায় অভিযুক্ত প্রসেনজিত্ ওরফে পঙ্কাকে। সরকারি আইনজীবী বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। মঙ্গলবার বিচারপতি অসীম রায় ও বিচারপতি তফিকউদ্দিনের ডিভিশন বেঞ্চ খোঁজ শুরু করেন কীভাবে এই ঘটনা ঘটল। দেখা যায়, বিচারপতিদের এবং আদালতের যাবতীয় তালিকায় জামিন নাকচের বিষয়টি রয়েছে। কিন্তু যে নির্দেশের ভিত্তিতে প্রসেনজিত দত্তর জামিন হয়েছ, তাতে বিচারপতিদের সই রয়েছে। সেই সইও নকল নয়। শেষ পর্যন্ত সমস্যা মেটাতে বিচাপতিরা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। আগামী সোমবার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তাঁরা।