দুষ্কৃতীদের হাতে খুন বীরভূমের অপহৃত দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী
হাওড়া গোলাবাড়ির পর এবার বীরভূমের মুরারই। দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। এক মাসের বেশি নিখোঁজ থাকার পর আজ দামোদরের চর থেকে ওই ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
ব্যুরো: হাওড়া গোলাবাড়ির পর এবার বীরভূমের মুরারই। দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। এক মাসের বেশি নিখোঁজ থাকার পর আজ দামোদরের চর থেকে ওই ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
পনেরোই এপ্রিল মেলা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বীরভূমের মুরারই থানা এলাকার বাসিন্দা দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী নিহা খাতুন। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে ওই ছাত্রীর বাড়িতে। মুক্তিপণের বিষয়টি থানায় জানানো হয়। অভিযোগ, এরপরই ফের ফোনে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। শেষ পর্যন্ত মেয়েকে ফিরে পেতে মুক্তিপণের টাকা দিতে যায় নিহা খাতুনের পরিবার। কিন্তু অপহরণকারীদের দেখা মেলেনি বলে দাবি ছাত্রীর বাবার।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতেরা সকলেই স্থানীয় বাসিন্দা। তাদের জেরা করে পুলিস জানতে পারে নিহা খাতুনকে খুন করে দামোদরের চরে পুঁতে দিয়েছে অপহরণকারীরা। বুধবার দামোদরের চরে ওই ছাত্রীর পোশাক মেলে। পরে চর থেকে উদ্ধার হয় নিহার পচাগলা দেহ।
ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে রামপুরহাট হাসপাতালে। পনেরোই মে হাওড়ার গোলাবাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে অপহরণকারীদের হাতে খুন হয় স্কুল ছাত্র বিশাল শর্মা।