১৬ বছর শিকল বন্দী যুবতী, দেখে না পরিবার, নির্বিকার প্রশাসন
টানা ১৬ বছর বাঁশঝাড়ে বিবস্ত্র অবস্থায় শিকলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে এক যুবতী। দেখেও দেখে না পরিবার। প্রতিবেশীরাও সব জেনেশুনে নীরব। নির্বিকার প্রশাসনও। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এই ছবি ধরা পড়েছে ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায়।
টানা ১৬ বছর বাঁশঝাড়ে বিবস্ত্র অবস্থায় শিকলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে এক যুবতী। দেখেও দেখে না পরিবার। প্রতিবেশীরাও সব জেনেশুনে নীরব। নির্বিকার প্রশাসনও। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এই ছবি ধরা পড়েছে ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরায়।
মালদা শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে বামনগোলা ব্লক। সেখানকারই মদনাবতী পঞ্চায়েতের পশ্চিমপাড়ায় বাঁশঝাড়ে বন্দি ওই যুবতী। একসময় সে ছিল স্থানীয় নালাগোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। আচমকাই যাকে তাকে কামড়ে দেওয়ার প্রবণতা ধরা পড়ে তার মধ্যে। আতঙ্কিত পরিবার প্রথমে ঘরেই আটকে রাখে তাকে। কিন্তু ঘরের মধ্যেই সে মাটি খুঁড়তে শুরু করায় আর ঝুঁকি নেননি তাঁরা। চিকিত্সার খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। তারপর থেকেই পাড়ার বাঁশঝাড়ে ঘরের মেয়েকে শিকলে বেঁধে ফেলে রাখে পরিবার। সেদিনের কিশোরী ছাত্রী আজ একত্রিশের যুবতী। পরিবার দুবেলা খাবার দিয়ে গেলেও সবসময় মুখে তোলে না সে। উদাসীন পরিবার, পড়শিরা। ঘটনায় নীরব প্রশাসনও। কেন ? পঞ্চায়েত প্রধান তপতী মুর্মু জানিয়েছেন, এই ঘটনা তাঁর জানা ছিল না।
সত্যিই কি ঘুম ভাঙবে প্রশাসনের ? পঞ্চায়েত প্রধানের কথা অনুযায়ী মুক্তি পাবে তো এই যুবতী?