কৃষকদের পাশেই সরকার
মঙ্গলবার বর্ধমান সফরে গিয়ে পুলিস লাইনের মাঠে কৃষকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ও নিজভূমি নিজগৃহ প্রকল্পের পাট্টাদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ হাজার কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়। কৃষি সরঞ্জাম কেনার জন্য কৃষকদের জন্য কৃষিঋণ বরাদ্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বর্ধমান সফরে গিয়ে পুলিস লাইনের মাঠে কৃষকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ও নিজভূমি নিজগৃহ প্রকল্পের পাট্টাদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ হাজার কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়। কৃষি সরঞ্জাম কেনার জন্য কৃষকদের জন্য কৃষিঋণ বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ২ টি প্রকল্পের জন্য খরচ করা হয়েছে ১১০ কোটি টাকা। রাজ্যে ঋণের দায়ে একের পর এক কৃষক আত্মহত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের সফরে কার্যত তিনি বোঝাতে চেয়েছেন কৃষকদের পাশেই আছে সরকার।
সেইসঙ্গেই এই অনুষ্ঠানেই গলসি, ভাতার, মেমারি ও কেতুগ্রামে ৪ টি কৃষক মান্ডির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলায় প্রতিটি ব্লকে কৃষক মাণ্ডি তৈরি করার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। জেলার ৪০০ ভূমিহীন পরিবারকে জমির পাট্টা ও বাড়ি তৈরির চেকও বিলি করার পাশাপাশি, বর্ধমান জেলায় মোট ২০টি কৃষি উত্পাদন কেন্দ্র ও সাধনপুরে একটি কৃষি মহাবিদ্যালয় গড়ার কথাও এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এদিন মহাজনদের কাছে চড়া সুদে ঋণ না নিয়ে সরকারের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার জন্যও কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে রাজ্যে দেনার দায় কৃষক আত্মহত্যার কথাও পরোক্ষে স্বীকার করে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্ধমান সফরের একদিন আগে সোমবারই উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতির ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে জেলা শাসকের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও। মঙ্গলবার বর্ধমান জেলা সফরে গিয়ে বাম পরিচালিত বর্ধমান জেলা পরিষদের কাজের প্রশংসা করে তাঁর প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি তুলে ধরারও চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী।