এনসেফেলাইটিসে মৃতের সংখ্যা নিয়ে প্রশাসনের তথ্যে অসঙ্গতি
কোচবিহারে এনসেফেলাইটিসে মৃতের সংখ্যা নিয়ে প্রশাসনের দেওয়া তথ্যে ধরা পড়ল অসঙ্গতি। জেলাশাসক যে তালিকা দিচ্ছেন বাস্তবের সঙ্গে তার মিল নেই। রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যদফতরের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। শূকরের টীকাকরণ নিয়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের আশ্বাস শোনা গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
জলপাইগুড়ি: কোচবিহারে এনসেফেলাইটিসে মৃতের সংখ্যা নিয়ে প্রশাসনের দেওয়া তথ্যে ধরা পড়ল অসঙ্গতি। জেলাশাসক যে তালিকা দিচ্ছেন বাস্তবের সঙ্গে তার মিল নেই। রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যদফতরের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। শূকরের টীকাকরণ নিয়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের আশ্বাস শোনা গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এনসেফেলাইটিসে কোচবিহারে ১৩ জনের মৃত্যু হয় বলে জানান জেলাশাসক পি উলগানাথন। কোচবিহার থেকে পঁয়ষট্টি জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হয় বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়। পরিস্থিতির উন্নতির কথাও শোনা যায় জেলাশাসকের মুখে।
জেলাশাসকের দাবি কতটা সঠিক, তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। চলতি মাসের একুশ তারিখে কোচবিহার শহর লাগোয়া পাঁচতালতলার বাসিন্দা মালতি বর্মণ জ্বর নিয়ে এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠায়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, জেলাশাসকের দেওয়া তালিকায় নাম নেই মালতির।
শূকরের টীকাকরণ নিয়ে প্রশাসনের আশ্বাস মিললেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ। শহর ও সংলগ্ন এলাকায় এখনও চোখে পড়ছে শূকরের খামার ও তার নোংরা ছবি। তবে, দেরিতে হলেও পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ কিছুটা শুরু হয়েছে। মশা নিধন কামানের ব্যবহারও দেখা গিয়েছে শহরের কিছু ওয়ার্ডে।
অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে মুম্বইতে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেও দাবি তাঁর। উত্তরবঙ্গে গত দু-তিন দিনে বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।