বিমল গুরুংয়ের ইস্তফার পর বাড়ছে জিটিএ জট
জিটিএ প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিমল গুরুং। দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছেন উপপ্রধানও। জিটিএ আইন বলছে, এই অবস্থায় মনোনীত সদস্যদের মধ্যে কাউকে প্রধান নির্বাচন করতে পারে রাজ্য। আইন অনুযায়ী যেতে পারে নির্বাচনেও। তবে এক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হবে এক মাস। যদি তা হয়, সেক্ষেত্রে কিছুটা চাপে পড়তে পারেন মোর্চা নেতৃত্বও। সেই অঙ্কই এখন মহাকরণের কর্তাদের মাথায়।
জিটিএ প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিমল গুরুং। দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছেন উপপ্রধানও। জিটিএ আইন বলছে, এই অবস্থায় মনোনীত সদস্যদের মধ্যে কাউকে প্রধান নির্বাচন করতে পারে রাজ্য। আইন অনুযায়ী যেতে পারে নির্বাচনেও। তবে এক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হবে এক মাস। যদি তা হয়, সেক্ষেত্রে কিছুটা চাপে পড়তে পারেন মোর্চা নেতৃত্বও। সেই অঙ্কই এখন মহাকরণের কর্তাদের মাথায়।
মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং ইস্তফা দেওয়ায় অনিশ্চিত জিটিএর ভবিষ্যত। নিয়ম অনুযায়ী, একমাসের মধ্যে জিটিএতে প্রধান নিয়োগ করতে হবে। আইনে বলা রয়েছে, চেয়ারম্যান ইস্তফা দিলে দায়িত্ব পাবেন উপপ্রধান। এক্ষেত্রে জিটিএর আইন মেনেই উপপ্রধান রমেশ আলেকে এই দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছেন রমেশ আলে। আইন অনুযায়ী দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করলে এক মাসের মধ্যে তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে লিখিতভাবে কিছুই জানাননি রমেশ আলে।
আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত সদস্যরা দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করলে মনোনীত সদস্যদের মধ্যে থেকে জিটিএ প্রধান নির্বাচন করা যাবে। আর সেই সুযোগের জন্যই এখন অপেক্ষা রাজ্যের। এই মুহূর্তে জিটিএতে মনোনীত সদস্য পাঁচ জন। এর মধ্যে সরকার মনোনীত সদস্য তিন জন। সরকারের পক্ষে এই মুহুর্তে মনোনীত সদস্যদের মধ্যে প্রধান নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কিন্তু, রমেশ আলে যদি দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন, সেক্ষেত্রে মনোনীত সদস্যদের কাউকে জিটিএ প্রধান পদে বসাতেই পারে রাজ্য।
বিমল গুরুংয়ের ইস্তফার পর জিটিএর পঁয়তাল্লিশ জন সদস্যের বাকিরা কী করবেন তা এখনও অনিশ্চিত। মোর্চার তরফ থেকে বলা হয়েছিল, গুরুং পদত্যাগ করার পর বাকিরাও পদত্যাগ করবেন। জিটিএর সমস্ত সদস্য পদত্যাগ করলে আইন অনুযায়ী পুনরায় নির্বাচন করা যেতে পারে। সমস্ত সদস্য পদত্যাগ না করে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকলেও নির্বাচনে যেতে পারে রাজ্য।
কিন্তু জিটিএ আইন অনুযায়ী এক্ষেত্রেও সরকারকে অপেক্ষা করতে হবে এক মাস। জিটিএ প্রধান থেকে বিমল গুরুং ইস্তফা দিয়েছেন ৩০ জুলাই। একমাসের সময়সীমা অনুযায়ী ২৯ অগাস্টের আগে নির্বাচনে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকছে না রাজ্যের কাছে। ফলে এই এক মাস চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেই থাকতে হবে সব পক্ষকে। কিন্তু একমাস পরে, যদি রাজ্য সরকার মনোনীত সদস্যদের কাউকে জিটিএ প্রধান করে, এবং নির্বাচন ঘোষণা করে, সেক্ষেত্রে কিছুটা চাপেই পড়ে যাবে মোর্চা নেতৃত্ব।