রাষ্ট্রপতির সইয়ের পরও জিটিএ অতল জলে

রাষ্ট্রপতির সইয়ের পরেও কাটল না জিটিএ নিয়ে জট। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জিটিএ চুক্তিতে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের সইয়ের বিষয়টি জানানো হয় রাজ্য সরকারকে। কিন্তু মোর্চা নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, জিটিএতে তরাই ও ডুয়ার্সের মৌজাগুলি অন্তর্ভূক্তি না হলে পাহাড়ে নির্বাচন সম্ভব নয়।

Updated By: Mar 7, 2012, 10:22 PM IST

রাষ্ট্রপতির সইয়ের পরেও কাটল না জিটিএ নিয়ে জট। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জিটিএ চুক্তিতে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের সইয়ের বিষয়টি জানানো হয় রাজ্য সরকারকে। কিন্তু মোর্চা নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, জিটিএতে তরাই ও ডুয়ার্সের মৌজাগুলি  অন্তর্ভূক্তি না হলে পাহাড়ে নির্বাচন সম্ভব নয়।
বুধবার চুক্তিতে রাষ্ট্রপতির সই এর পরও কিন্তু জিটিএ নিয়ে জট কাটল না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বুধবার দিল্লিতে জিটিএ চুক্তিতে সই করেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল। এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকারকে জানানো হয় বিষয়টি। রাজ্যের মুখ্যসচিব সমর ঘোষ জানিয়েছেন এরপর রাজ্যপালের কাছ থেকে সই হয়ে আসার পর কয়েকদিনের মধ্যেই গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হবে। এরপরই নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করবে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক ভাবে ডিলিমিটেশনের পরই রাজ্যসরকারের তরফে ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের দিন। 
যদিও বুধবার মুখ্যসচিব মহাকরণে জানান, জিটিএ চুক্তিতে পরিষ্কারই বলা আছে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং এলাকা নির্ধারণের কাজ একই সঙ্গে চলতে পারে।  তবে মোর্চা নেতা রোশন গিরি জানিয়ে দিয়েছেন, জিটিএতে তরাই-ডুয়ার্সের তিনশো ৯৬টি মৌজার অন্তর্ভুক্তি না হলে পাহাড়ে নির্বাচন সম্ভব নয়।  
এবিষয়ে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন জিটিএ বিলে অনেকগুলি খামতি রয়েছে, যেকথা তাঁরা বারবার বলেছেন। একইসঙ্গে বুধবার তাঁর বক্তব্য, বিরোধীরাও চায় পাহাড়ে শান্তি ফিরুক। তবে প্রথম থেকেই তিনটি শর্তের বিষয়ে অনড় বিরোধীরা।
সম্প্রতি পাহাড় সফরে গিয়ে জিটিএ চুক্তি শীঘ্রই কার্যকর করার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জিটিএ বিলে সম্মতি দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্রও। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহেই বিলটি অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়।

.