এবিজি কাণ্ডে আটক প্রতিবাদি শ্রমিকদের জামিন, অস্বস্তিতে রাজ্য
হলদিয়া থেকে এবিজির চলে যাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করে ধৃত ১৪জন শ্রমিককে আজ নিঃশর্ত জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১৫ জানুয়ারি কাজ হারানো এই ১৪জন শ্রমিককে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হলেও তার স্বপক্ষে কলকাতা হাইকোর্টে কোনও তথ্য পেশ করতে পারেনি রাজ্যসরকার। ফলে আজ ধৃত ১৪ জনকেই নিঃশর্ত মুক্তি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
হলদিয়া থেকে এবিজির চলে যাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করে ধৃত ১৪জন শ্রমিককে আজ নিঃশর্ত জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১৫ জানুয়ারি কাজ হারানো এই ১৪জন শ্রমিককে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হলেও তার স্বপক্ষে কলকাতা হাইকোর্টে কোনও তথ্য পেশ করতে পারেনি রাজ্যসরকার। ফলে আজ ধৃত ১৪ জনকেই নিঃশর্ত মুক্তি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
পনেরোই জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাওয়ার রাস্তা থেকে বহু দূরে কালো ব্যাচ পরে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন চোদ্দো জন শ্রমিক। এবিজির চলে যাওয়ার বিরুদ্ধেই ছিল তাঁদের প্রতিবাদ। কিন্তু সেখান থেকেই পুলিস চোদ্দো জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মজুত, এলাকায় আইন শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা সমেত নানা জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিস। কিন্তু আদালতে সেই সপক্ষে কোনওরকম জোরালো তথ্য প্রমাণ পেশ করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত সোমবার চোদ্দো জনকেই নিঃশর্ত জামিন দিল আদালত। পূর্ব মেদিনীপুরের কংগ্রেস নেতাদের মতে এই জয় কংগ্রেসেরই নৈতিক জয়।
নন্দীগ্রাম থেকেই আন্দোলন শুরু করে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। সেই সময় ভূমি উচ্ছেদ কমিটির ব্যানারে তৃণমূলের সঙ্গেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন সেখানকার মানুষ। কিন্তু একসময় যে দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন তাঁরা, ক্ষমতায় আসার পর সেই সরকারের পুলিসের হাতেই গ্রেফতার হওয়ায়, সেখানকার মানুষই আজ ক্ষোভে ফুঁসছে। কিছুদিন পরই ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রাম সফর। তার আগে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে সরকারের বিড়ম্বনা বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।