ব্যান্ডেলে ধৃত জেলা কংগ্রেস সভাপতিকে তোলা হল আদালতে
ব্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা দিলীপ পাসোয়ানের খুনের ঘটনার জেরে গণ্ডগোল বাধানোর অভিযোগে ধৃত জেলা কংগ্রেস সভাপতি-সহ ৪১ জনকে আদালতে পেশ করা হল বৃহস্পতিবার। ধৃতদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হাঙ্গামা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস-সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছে হুগলি জেলা পুলিস।
ব্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা দিলীপ পাসোয়ানের খুনের ঘটনার জেরে গণ্ডগোল বাধানোর অভিযোগে ধৃত জেলা কংগ্রেস সভাপতি-সহ ৪১ জনকে আদালতে পেশ করা হল বৃহস্পতিবার। ধৃতদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হাঙ্গামা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস-সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছে হুগলি জেলা পুলিস।
মঙ্গলবার ব্যান্ডেল গুডস ইয়ার্ডে খুন হন কংগ্রেস নেতা দিলীপ পাসোয়ান। ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস সমর্থক ও স্থানীয় বাসিন্দারা বুধবার সকালে ব্যান্ডেল মোড় অবরোধ করে। নিহত দিলীপ পাসোয়ানের ভাই অভিযোগ করেন, পুলিসি নিষ্ক্রিয়তাতেই এলাকায় সমাজবিরোধী উপদ্রব বেড়েছে। তারাই তাঁর দাদাকে খুন করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। অবরোধ তুলতে লাঠি চালায় পুলিস। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট ছোঁড়ে ক্ষুব্ধ জনতা। সংঘর্ষে জখম হন এক মহিলা ডিএসপি-সহ ১৬ কয়েকজন পুলিস কর্মী। আহত হন কয়েকজন অবরোধকারীও।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিস। এরই মধ্যে পুলিসের একটি জিপে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিস সুপার সহ উচ্চপদস্থ কর্তারা। বিক্ষোভে এলাকার কিছু দুষ্কৃতীর মদত ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিস সুপার। অবরোধে শামিল হয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ঋতু সিং। তিনিও পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনেন। পুলিসকে আক্রমণের অভিযোগে জেলা কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ নাথ-সহ বেশ কিছু আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে পুলিস। ঘটনার জেরে থমকে যায় এলাকার যান চলাচল। পরে পুলিস কর্তাদের হস্তক্ষেপে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।