মুখ্যমন্ত্রীর সামনে অনুষ্ঠান করা হল না, অভিমান নিয়ে ফিরলেন জঙ্গলমহলের শিল্পীরা

সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ঝাড়গ্রামের অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছিলেন ওঁরা। নাচে-গানে আসর মাতাতে  তাঁরা তৈরিও ছিলেন। কিন্তু ছবিটা বদলে গেল হঠাত্‍। শেষপর্যন্ত বহিরাগত শিল্পীরাই শুধু মুখ্যমন্ত্রীর সামনে অনুষ্ঠান করার সুযোগ পেলেন। জঙ্গলমহলের ছৌ নাচ আর ঝুমুর গানের শিল্পীরা থেকে গেলেন ব্রাত্য।

Updated By: Oct 17, 2014, 12:01 AM IST

ওয়েব ডেস্ক: সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ঝাড়গ্রামের অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছিলেন ওঁরা। নাচে-গানে আসর মাতাতে  তাঁরা তৈরিও ছিলেন। কিন্তু ছবিটা বদলে গেল হঠাত্‍। শেষপর্যন্ত বহিরাগত শিল্পীরাই শুধু মুখ্যমন্ত্রীর সামনে অনুষ্ঠান করার সুযোগ পেলেন। জঙ্গলমহলের ছৌ নাচ আর ঝুমুর গানের শিল্পীরা থেকে গেলেন ব্রাত্য।

মাটির গান শুনতে ভালোবাসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কথা মাথায় রেখেই বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের অনুষ্ঠানে ছৌ নাচ আর ঝুমুর গানের শিল্পীদের ডেকেছিলেন প্রশাসনের কর্তারা। ছৌ আর ঝুমুরের এই দুটি দলেরই এলাকায় যথেষ্ট নামডাক রয়েছে। ঝাড়গ্রাম স্পোর্টস অ্যাকাডেমির মাঠে রীতিমতো শিবির করে রাখা হয়েছিল এই শিল্পীদের। মহড়াও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অনুষ্ঠান করার ডাকই পেলেন না।

মুখ্যমন্ত্রীর সামনে এদিন একাধিক নাচের অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। অভিযোগ, সেই শিল্পীরা সবাই বহিরাগত। কিন্তু মেকআপ করার পরেও অনুষ্ঠানে ডাক পাননি মাঠেঘাটে কাজের ফাঁকেও ছৌ-ঝুমুরে মজে থাকা এই শিল্পীরা।

মুখ্যমন্ত্রীর সামনে অনুষ্ঠান করা হল না। একরাশ অভিমান নিয়েই শেষমেশ বাড়ির পথ ধরলেন এই শিল্পীরা।

জানা গিয়েছে, সময়াভাবেই সুযোগ দেওয়া যায়নি ওই শিল্পীদের। কিন্তু প্রশ্ন থাকছেই,আগাম আমন্ত্রণ জানিয়েও কেন ঘটল এই বিভ্রাট?

এদিকে, রাজ্যে বিভেদ ছড়ানোর জন্য নাম না করে বিজেপিকেই দুষলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলের সভায় আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি করার জন্যই বিভেদ ছড়ানোর চেষ্টা করছে দুষ্টচক্র। জঙ্গলমহলের উন্নয়ন বরাবরই তাঁর পাখির চোখ। আজ  মুখ্যমন্ত্রী বোঝানোর চেষ্টা করেন, রাজ্যে সম্প্রীতি রক্ষা করাও তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ।

কলকাতার বাইরে এই প্রথম। পুজো এবং ইদের পর   উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার মিলন উত্‍সবে  সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী। ১৭৮টি পুজো কমিটি এবং ৪৮টি ইদ কমিটির সদস্যরা এদিন এসেছিলেন ঝাড়গ্রামের সভায়।   বিশাল জমায়েতেই রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

বরাবরের মতো এবারের সফরেও জঙ্গলমহলের  উন্নয়ন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের কাজে  মুখ্যমন্ত্রী সন্তুষ্ট নন। বিভাগীয় মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদাকে সেকথা বৈঠকে স্পষ্ট  জানিয়েও দেন তিনি। এদিন জঙ্গলমহলের তিন জেলার উন্নয়নের কাজের পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই তিনি সোজা আসেন ওই সভায়। তাঁর ভাষণের সিংহভাগ জুড়েই এদিন ছিল সম্প্রীতির আহ্বান। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার অঙ্গীকার। উত্‍সব শান্তিতে কাটায় এদিন সকলকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। এমনই মিলন উত্‍সব অন্য জেলায় করার পরামর্শও দেন তিনি।

.