ভোটের আগে জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রীর স্টেজ রিহার্সাল
জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুই, জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানোর একক কৃতিত্ব দাবি করলেন। পেশ করলেন গত চারবছরে উন্নয়নের দীর্ঘ তালিকা। কিন্তু, শান্তি ফিরলেও কেন জঙ্গলমহল জুড়ে নিরাপত্তার এত কড়াকড়ি উঠছে প্রশ্ন।
ওয়েব ডেস্ক: জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুই, জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানোর একক কৃতিত্ব দাবি করলেন। পেশ করলেন গত চারবছরে উন্নয়নের দীর্ঘ তালিকা। কিন্তু, শান্তি ফিরলেও কেন জঙ্গলমহল জুড়ে নিরাপত্তার এত কড়াকড়ি উঠছে প্রশ্ন।
মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে গোটা জঙ্গলমহল জুড়ে যেন যুদ্ধের প্রস্তুতি। গত ৭২ ঘণ্টা জঙ্গলমহল জুড়ে আধা সামরিক বাহিনীর দাপাদাপি। সকাল থেকে রাত। সজাগ দৃষ্টি। বেয়োনেট হাতে জওয়ানরা। প্রায় দু বছর বাদে মাও অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে প্রশাসনিক বৈঠক। বক্তব্য শুরু করলেন জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানো নিয়ে।
মাস কয়েক আগে মাওবাদী নেতা কিষেণজিকে খুন করার কৃত্বিত্ব দাবি করে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোলও পড়েছিল প্রচুর। এদিন অবশ্য, কিষেণজি বা মাওবাদী প্রসঙ্গ সযত্নে এড়িয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তুলে ধরেছেন, উন্নয়নের খতিয়ান।
পরিকল্পনা ছিল এ মঞ্চ থেকে বেশকয়েকজন মাওবাদীকে আত্মসমর্পণ করানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অস্ত্র তুলে দেবেন তাঁরা। কিন্তু, শেষপর্যন্ত তা বাতিল করা হয়। গত চার বছর ধরেই দেখা যাচ্ছিল তাবড় তাবড় মাওবাদীরা আত্নসমর্পণ করছিল রাজ্য সরকারের কাছে। আর তাদের জন্য দরাজ হাতে প্রকল্প ঘোষণা করছিল সরকার। একদা নিরীহ মানুষের রক্তে হাত রাঙানো মাওবাদীদের জন্য সরকারের এই সহযোগিতা জঙ্গলমহলে অন্য বার্তা দিচ্ছে , এমনটা বুঝেই কি পিছিয়ে আসল সরকার? মুখ খোলেন নি আধিকারিকরা। তবে, বিধানসভা ভোটের আগে নিরাপত্তায় মোড়া জঙ্গলমহলে একপ্রস্থ স্টেজ রিহার্সালই যে দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে সন্দেহ নেই।