ভেড়ির টাকা পাচ্ছে না কামদুনি

প্রতিবাদের মাশুল গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে কামদুনির। ভেড়ির টাকা পাচ্ছেন না গ্রামের মানুষ। ফলে টান পড়েছে বহু মানুষের রুটিরুজিতে। সব কিছুই চলছে শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের ইচ্ছায়। তবে তাঁরা যে নিজেদের ইচ্ছায় কিছু করছেন না, সে কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীদের। তৃণমূলের উপরতলার নির্দেশেই টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে।

Updated By: Aug 11, 2013, 06:42 PM IST

প্রতিবাদের মাশুল গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে কামদুনির। ভেড়ির টাকা পাচ্ছেন না গ্রামের মানুষ। ফলে টান পড়েছে বহু মানুষের রুটিরুজিতে। সব কিছুই চলছে শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের ইচ্ছায়। তবে তাঁরা যে নিজেদের ইচ্ছায় কিছু করছেন না, সে কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীদের। তৃণমূলের উপরতলার নির্দেশেই টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে।
ঘরের মেয়ের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তর্ক করেছেন, পথে নেমেছেন, মিছিল করেছেন, রাষ্ট্রপতির দরজায় কড়া নেড়েছেন। প্রতিবাদ করলে যে প্রতিদান দিতে হবে সে আশঙ্কাটা ছিলই। তাই এ বার মাশুল গোনার পালা। কামদুনি গ্রামে বড় বিল নামে দুশো একরেরও বেশি এলাকাজুড়ে রয়েছে একটি ভেড়ি। গ্রামের বহু মানুষের রুটিরুজির সংস্থান হয় এই ভেড়ি থেকেই। সমবায় ব্যবস্থায় বহু দিন ধরে বড় বিলের কাজকর্ম হয়ে আসছে শাসক দলের নেতৃত্বে। কিন্তু প্রতিবাদ করায় এ বার তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব গ্রামবাসীদের টাকা আটকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আটকে দেওয়া হয়েছে মূলত তাঁদের টাকাই, যাঁরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু এই ভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি করে যে তাঁদের মুখ বন্ধ করা যাবে না, সে কথাও বলিষ্ঠ স্বরে জানিয়ে দিয়েছে কামদুনি।
 
ভেড়ির টাকা আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরাসরি তাঁদের নয়, তৃণমূলের উপরতলার নির্দেশ। ভুক্তভোগীদের জানাতে ভোলেননি ভেড়ির কাজকর্মে যুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব. এ কথা বলে কি তাঁরা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের কথাই বলতে চাইছেন? ইঙ্গিত যা-ই হোক না কেন, আপাতত কামদুনিকে যে হাতে না মেরে ভাতে মারার চক্রান্ত চলছে, সেটা একেবারে স্পষ্ট।

.