শত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কামদুনি রয়েছে সেই কামদুনিতেই!
কামদুনিতে ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। আড়াই বছর পর কী পেল নির্যাতিতার গ্রাম? সরেজমিনে চব্বিশ ঘণ্টা।
ওয়েব ডেস্ক: কামদুনিতে ঢালাও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। আড়াই বছর পর কী পেল নির্যাতিতার গ্রাম? সরেজমিনে চব্বিশ ঘণ্টা।
২০১৩ সালের ৭ জুনের ঘটনার পর রাস্তায় নেমেছিল গোটা গ্রাম। বারুদে আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে উন্নয়নের ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেয় শাসক শিবির। এই সব প্রতিশ্রুতির কতটা বাস্তবের মুখ দেখেছে কামদুনিতে? আড়াই বছর আগে এই রাস্তা দিয়ে ফেরার সময় দিনের আলোয় আক্রান্ত হয়েছিলেন তরুণী। রাতে এমন পথের কী দশা হয়, তা সহজেই অনুমান করা যায়। এতদিন আলো জ্বলেনি। রায় বেরনোর আগে আলো লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এই দেড় কিলোমিটার রাস্তা আড়াই বছরে বদলে যাওয়ার কথা ছিল। লাগাতার খবরের শিরোনামে থাকায় পিচের প্রলেপ একবার পড়েছিল বটে। কিন্তু ছাল চামড়া উঠে এখন তার অবস্থা আগের চেয়েও শোচনীয়।
আদালতের নির্দেশে কামদুনিতে পুলিস পিকেট থাকলেও, প্রতিশ্রুতিমতো স্থায়ী পুলিস ক্যাম্প হয়নি। দিনে যাতায়াতের ভরসা ভ্যানরিকশা আর ম্যাজিক গাড়ি। সন্ধের পর তা কমে আসে। তখন ডাক্তারের কাছে যেতেও ভয় পান এলাকার মানুষ। আজও গ্রামের মেয়েরা কলেজ থেকে ফিরলে, তাঁদের বাবা অথবা ভাইকে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়াতে হয়। কামদুনি প্রাইমারি স্কুলের সংস্কার হয়নি। এলাকায় উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল তৈরির প্রতিশ্রুতি ছিল। তাও হয়নি ভেড়ি বুজিয়ে এলাকায় অবৈধ নির্মাণ চলছে রমরমিয়ে। সব মিলিয়ে কামদুনি আছে কামদুনিতেই। পরিবর্তন বলতে গ্রামের বাইরে বাহারি গেট। তাই বহু হুমকি সহ্য করেও আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরতে চান না টুম্পা মৌসুমীরা। উন্নয়ন আদায়ে আন্দোলনই যে ভরসা!