ঘোষণার কয়েক মাসের মধ্যেই বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্প
ঘোষণার কয়েকমাসের মধ্যেই বিতর্কে জর্জরিত মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী। কন্যাশ্রীর আওতায় বছরে প্রায় ২৪ লক্ষ ছাত্রীকে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থ দফতরেরই হিসেব বলছে প্রথম তিনমাসে মাত্র ১০ হাজার ছাত্রীর হাতে টাকা পৌছেছে। উঠছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ।
ঘোষণার কয়েকমাসের মধ্যেই বিতর্কে জর্জরিত মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী। কন্যাশ্রীর আওতায় বছরে প্রায় ২৪ লক্ষ ছাত্রীকে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থ দফতরেরই হিসেব বলছে প্রথম তিনমাসে মাত্র ১০ হাজার ছাত্রীর হাতে টাকা পৌছেছে। উঠছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ।
রাজ্য সরকারের যে সামাজিক প্রকল্পগুলি প্রচারের শীর্ষে, তাদের এক নম্বরে কন্যাশ্রী। তবে ঘোষণার কয়েক মাসের মধ্যেই,বড়সড় ধাক্কা খেল প্রকল্পটি। গতবছর, পয়লা অক্টোবর প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই প্রকল্পে ২৪ লক্ষ ছাত্রীকে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এই প্রকল্পে বছরে এক হাজার কোটি টাকা খরচ করবে সরকার। কিন্তু, রাজ্য সরকারের হিসেবই বলছে, এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মাত্র ১০ হাজার ৭৬ জনকে ওই ভাতা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি রাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সংগঠন SLBC-র সভায় অর্থ দফতর সূত্রে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প ঘোষণা করার আগেই নারী কল্যাণ দফতরকে ২৪ লক্ষ ছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থ দফতরের তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত মাত্র দুলক্ষ ছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও।
গত বছরের দশ অক্টোবর প্রকল্প নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়। যে নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, কন্যাশ্রী প্রকল্পে ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে এলাকার স্কুলগুলি থেকে। যদি কেউ স্কুল থেকে ফর্ম না পান, পঞ্চায়েত প্রধানের কাজ থেকে সেই ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে। কিন্তু বেশিরভাগ জাগয়াতেই দেখা যাচ্ছে পঞ্চায়েত প্রধানরা স্কুলগুলিতে ফর্ম পাঠাচ্ছেন না। নিজেদের হেফাজতে রাখছেন ওই ফর্ম। যে কারণে বহু ইচ্ছুক ছাত্রীই প্রকল্পের জন্য আবেদনই জানাতে পারছেন না। আবার যাঁরা পঞ্চায়েতের মাধ্যমে আবেদন জানাচ্ছেন, স্কুলের সীলমোহর না থাকার জন্য তাঁদের আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগণা, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং, এবং দুই মেদিনীপুরে থেকে আসা প্রায় তিন হাজার আবেদনপত্র বাতিল হয়ে গেছে।