কাটোয়ায় পুলিশ পেটানোয় দোষীদের বদলে নিরীহদের ধরা হয়েছে, অভিযোগ গ্রামবাসীদের

Updated By: Nov 28, 2015, 07:49 PM IST
কাটোয়ায় পুলিশ পেটানোয় দোষীদের বদলে নিরীহদের ধরা হয়েছে, অভিযোগ গ্রামবাসীদের

ওয়েব ডেস্ক: কাটোয়াজুড়ে রাতভর তল্লাসি। পুলিস পেটানোর ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার সাত। দোষীদের বদলে নিরীহদের ধরেছে পুলিস, অভিযোগ গ্রামবাসীদের। অবৈধ বালিঘাটগুলি চিহ্নিত করতে দোসরা ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হল বৈধ বালিঘাটও। লোকসানের আশঙ্কায় মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ মালিকেরা।
ঘুম ভাঙল প্রশাসনের। হুঁশও ফিরল। অবৈধ বালিবোঝাই লরি ধরতে গিয়ে সেচকর্মী ও পুলিসকে মারধরের ঘটনার পরদিনই গ্রেফতার হল অভিযুক্ত সাতজন। শুক্রবারই দুজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস।তাদের নিয়ে রাতভর তল্লাসি চালায় পুলিস। জালে পড়ে আরও পাঁচ অভিযুক্ত।
পাশাপাশি অবৈধ বালিঘাটগুলি চিহ্নিত করতে বৈধ ঘাটগুলিও দোসরা ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
বালি মাফিয়ার রমরমা কমাতে হঠাত্‍ বৈধ বালিঘাট বন্ধের নির্দেশ কেন?
কাটোয়া মহকুমায় ছটি বৈধ বালিঘাট রয়েছে। অবৈধ বালিঘাটের সংখ্যা সাতাশ। এছাড়াও আরও কোনও অবৈধ খাদান রয়েছে কি না, তা চিহ্নিত করতেই বৈধ ঘাটগুলি বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। চিহ্নিতকরণের কাজও শুরু হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের।   
তবে লোকসানের আশঙ্কায় মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন বৈধ ঘাটগুলির মালিকরা।
এদিকে সশস্ত্র পুলিস ছাড়া বেআইনি বালিবোঝাই লরি ধরার অভিযানে আর নামতে নারাজ সেচ দফতরের কর্মীরা। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, অভিযানে গিয়ে বালি মাফিয়াদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকেই। তাহলে কেন সশস্ত্র পুলিস বাহিনী থাকবে না? বালি পাচারের অভিযোগ পেয়েও কেন চুপ করে থাকে থানা?  
তাহলে কি গায়ে হাত পড়লে তবেই টনক নড়ে পুলিসের? অপরাধ দমনে পুলিসের ভূমিকাই তাই ফের প্রশ্নের মুখে।

.