অপহরণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে গাড়ির তলায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু তরুণীর

চলন্ত গাড়িতে টেনে তুলে অপহরণের চেষ্টা তরুণীকে। বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টায়, সেই গাড়িরই তলায় পড়ে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু তরুণীর। নিরাপত্তাহীনতার এই ভয়ঙ্কর ছবি হুগলির পোলবার। ফেরার অভিযুক্ত চালক, খালাসি। ঘরে দারিদ্র। পেটের দায়ে চাকরি। শত কষ্ট, শত বিপদ উজিয়ে পথে নামা। রোজগার করে সংসার চালানোর চেষ্টা। সেটাই করতে গিয়ে মরতে হল জয়ন্তী সোরেনকে।

Updated By: Jun 25, 2016, 07:18 PM IST
অপহরণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে গাড়ির তলায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু তরুণীর
প্রতীকী ছবি

ওয়েব ডেস্ক: চলন্ত গাড়িতে টেনে তুলে অপহরণের চেষ্টা তরুণীকে। বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টায়, সেই গাড়িরই তলায় পড়ে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু তরুণীর। নিরাপত্তাহীনতার এই ভয়ঙ্কর ছবি হুগলির পোলবার। ফেরার অভিযুক্ত চালক, খালাসি। ঘরে দারিদ্র। পেটের দায়ে চাকরি। শত কষ্ট, শত বিপদ উজিয়ে পথে নামা। রোজগার করে সংসার চালানোর চেষ্টা। সেটাই করতে গিয়ে মরতে হল জয়ন্তী সোরেনকে।

আরও পড়ুন আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে রাজ্যের বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড

শুক্রবার রাত প্রায় আটটা। কাজ সেরে আরও ৫ সহকর্মীর সঙ্গে ফিরছিলেন জয়ন্তী। কামদেবপুর-সুগন্ধা মোড়ের রাস্তা রোজের মতোই সুনসান। হঠাত্‍ ধেয়ে আসে একটি মিনিডোর। রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে থাকা জয়ন্তীকে ধরে শুরু হয় গাড়িতে তোলার জন্য টানাটানি। বন্ধুরা জয়ন্তীকে বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। গাড়ি তখনও স্পিডেই চলছে। এদিক-ওদিক ছিটকে পড়েন বন্ধুরা। পড়ে যান জয়ন্তীও। একেবারে গাড়ির তলায়। মুহূর্তের মধ্যে তাঁকে পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায় মিনিডোর। ঘটনায় জয়ন্তীর বাকি বন্ধুরাও কমবেশি জখম হন। সবচেয়ে বেশি আঘাত লাগে পূজা ওঁরাওয়ের। ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে।

আরও পড়ুন গঙ্গার ভাঙন রোধে নয়া উদ্যোগ নদিয়া জেলা প্রশাসনের

সুগন্ধা মোড়ে নেমে সেখান থেকে কামদেবপুর। সেখানকারই লজেন্স কারখানায় কাজ করতেন জয়ন্তী। সুগন্ধা মোড় থেকে কামদেবপুরের মাঝে দু কিলোমিটার রাস্তা একেবারেই সুনসান। অভিযোগ, মেলে না অটো, টোটো, ট্রেকার কিছুই। এরই সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা। বিশেষ করে টার্গেট করা হয় মহিলাদের।

শুক্রবার রাতে ঘটনার পরই, কিছুদূর গিয়ে গাড়িটি ফেলে পালায় অভিযুক্ত চালক-খালাসি। সেটি আটক করে পুলিস। মেলে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স। এরপর পরিচয় জানতে বেশি সময় লাগেনি। ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিস সুপারের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে হুগলি জেলা পুলিস। জয়ন্তীর পরিণতি নাড়িয়ে দিয়েছে অনেককে। এই লজেন্স কারখানাতেই তো আরও কত মহিলা শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তা কোথায়? কী বলবে পুলিস? একটা মৃত্যু তুলে দিয়ে গেল এমনই অনেক প্রশ্ন।

.