জামিন পেলেন লক্ষ্মণ শেঠ

গ্রেফতার হওয়ার ১১৮ দিন পর অবশষে জামিন পেলেন লক্ষ্মণ শেঠ। শুক্রবার বিচারপতি অসীমকুমার রায় ও বিচারপতি তৌফিকউদ্দিনকে নিয়ে গঠিত কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০০৭ সালের নন্দীগ্রাম নিখোঁজ কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত, তমলুকের প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।

Updated By: Jul 13, 2012, 04:29 PM IST

গ্রেফতার হওয়ার ১১৮ দিন পর অবশষে জামিন পেলেন লক্ষ্মণ শেঠ। শুক্রবার বিচারপতি অসীমকুমার রায় ও বিচারপতি তৌফিকউদ্দিনকে নিয়ে গঠিত কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০০৭ সালের নন্দীগ্রাম নিখোঁজ কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত, তমলুকের প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। ৫০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মণ শেঠকে। তবে জামিন পেলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঢুকতে পারবেন না লক্ষ্মণ শেঠ। 
গত ১৭ মার্চ মুম্বইয়ের চেম্বুর এলাকার একটি গেস্টহাউস থেকে তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ গ্রেফতার করে সিআইডি। লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়, নন্দীগ্রাম নিখোঁজ কাণ্ডে অভিযুক্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুই প্রথম সারির সিপিআইএম নেতা- পাঁশকুড়া (পূর্ব)-র প্রাক্তন বিধায়ক অমিয় সাহু এবং সিপিআইএম-এর নন্দীগ্রাম জোনাল কমিটির সম্পাদক তথা কৃষকসভার জেলা সভাপতি অশোক গুড়িয়াকে।রাজ্য পুলিসের তরফে জানান হয় তাঁরা হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই এসেছিলেন। তাঁদের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হলদিয়ার এসিজেএম আদালতে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ কাণ্ডের চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। চার্জশিটে ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে নন্দীগ্রামে সিপিআইএম এবং ভূমি-উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সংঘর্ষের ঘটনায় `নিখোঁজ` ভূমি-উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সমর্থকদের খুন করে দেহ লোপাট করার অভিযোগ আনা হয় ধৃত ৩ নেতার বিরুদ্ধে। খুন, প্রমাণ লোপ, ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আইন-সহ একগুচ্ছ ধারায় মোট ৮৮ জন সিপিএম নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ২১৫ পাতার এই চার্জশিটে। অবশ্য চার্জশিট পেশের আগেই আত্মগোপন করেছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ-সহ ৩ নেতা।

এর আগে লক্ষ্মণ শেঠ-সহ ধৃত ৩ সিপিআইএম নেতা একাধিকবার জামিনের আবেদন করলেও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এবার হাইকোর্টে বিচারপতি অসীম রায় ও বিচারপতি তৌফিকউদ্দিনকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ তমলুকের প্রাক্তন সাংসদকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল। তবে একই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে সপ্তাহে দুদিন তাঁকে তদন্তকারী সিআইডি অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। জেলায় ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লক্ষ্মণ শেঠের স্ত্রী তথা হলদিয়া পুরসভার চেয়ারপার্সন তমালিকা পণ্ডা শেঠ।
প্রসঙ্গত, আগে গত বছরের অগাস্ট মাসে দাসেরবাঁধ কঙ্কাল কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গড়বেতার সিপিআইএম বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রায় পাঁচ মাস জেলবন্দি থাকার পর চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান তিনি। সে ক্ষেত্রেও সুশান্তবাবুর উপর তার নিজের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে যাতায়াতের বিষয়ে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছিল শীর্ষ আদালত।

.