যাবজ্জীবন জেল 'দেশদ্রোহী' ছত্রধর সহ ৬ জনের

যাবজ্জীবন সাজা হল ছত্রধর মাহাতোর। অভিযুক্ত ছজনকেই যাবজ্জীবনের নির্দেশ মেদিনীপুর আদালতে। UAPA-তে গতকালই দোষী সাব্যস্ত হন ছত্রধর। শাস্তির রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাবার ভাবনা পরিবারের। UAPA-আইনে ছত্রধর মাহাতো, সুখশান্তি বাস্কে, শাগুন মুর্মু এবং শম্ভু সোরেনের যাবজ্জীবন সাজা হল। অন্যদিকে, রাজা সরখেল এবং প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে যাবজ্জীবন হল।

Updated By: May 12, 2015, 07:52 PM IST
যাবজ্জীবন জেল 'দেশদ্রোহী' ছত্রধর সহ ৬ জনের

ওয়েব ডেস্ক: লালগড় আন্দোলনের পোস্টার বয়, ছত্রধর মাহাতর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল মেদিনীপুর আদালত। একই সাজা প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ও রাজা সরখেল সহ ছত্রধরের বাকি পাঁচ সঙ্গীরও।  UAPA-তে  রাজ্যে এই প্রথম কেউ সাজা পেলেন।  

সর্বোচ্চ শাস্তির মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই মঙ্গলবার আদালতে পৌছন ছত্রধর ও তাঁর সঙ্গীরা। তবে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রাণদণ্ড হয়নি। ছজনকেই যাবজ্জীবন কারাবাসের শাস্তি দিয়েছে আদালত।

রায় শোনার আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টাও করেননি ছত্রধর। গোটা বিচার প্রক্রিয়াকেই প্রহসন বলে বিদ্রুপ করেছেন তাঁর সঙ্গীরাও।

দিনের শেষে যাবজ্জীবনের সাজা শুনেও নির্লিপ্তই রইলেন লালগড় আন্দোলনের পোস্টার বয়। যেন এটাই প্রত্যাশিত ছিল। বিচারকে প্রহসন বলে সরব হয়েছেন সাজাপ্রাপ্তদের পরিবারের লোকেরা।

রায় ঘোষণার সময় এজলাসে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। এটা জেনেই, রায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের বক্তব্য রীতিমতো লিখিত বিবৃতিতে জানিয়ে দেন, প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ও রাজা সরখেল।

সঙ্গীদের মতো বিবৃতি দেওয়ার পথে যাননি ছত্রধর। তবে আদালত ছাড়ার সময় জানিয়ে গেলেন, এই শাস্তি জঙ্গলমহলের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে পারবে না। সেই কথারই অনুরণন শোনা গেল সাজাপ্রাপ্ত প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের ভাই প্রদীপের গলাতেও।  

বুধবারই ঝাড়গ্রামে  যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে মেদিনীপুর আদালতের এই রায় তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সাজাপ্রাপ্তদের পরিবার ও APDR-এর তরফে জানানো হয়েছে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাবেন তাঁরা।

ছত্রধরের সাজা আসলে জঙ্গলমহলের মানুষকেই শাস্তি দেওয়া।বললেন, ছত্রধর মাহাতর স্ত্রী নিয়তি মাহাত। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন করার কথা জানিয়েছেন তিনি।   প্রতারণা করেছে বর্তমান শাসক দল। মেদিনীপুর আদালতের রায় ঘোষণার পর অভিযোগ করল সাজাপ্রাপ্ত প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার।

.