বিভ্রাটের নবান্নে ফের থমকে গেল লিফট, ভোগান্তির মুখে মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাধারণ কর্মীরাও
ফের নবান্নয় লিফট বিভ্রাট। শুধু কর্মীরা নন, ভোগান্তির মুখে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীও। ভিআইপিদের জন্য বরাদ্দ এক নম্বর লিফট দিয়ে ওঠানামা করেন মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী। আজ সেই লিফটিও বিকল হয়ে যায়। লিফটের মধ্যেই আটকে পড়েন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ঘণ্টা খানেক পর এমারজেন্সি গেট দিয়ে বের করা হয় মন্ত্রীকে। প্রায় একঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকেও। লিফট বিভ্রাটের ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কর্মচারিরাও।
ফের নবান্নয় লিফট বিভ্রাট। শুধু কর্মীরা নন, ভোগান্তির মুখে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীও। ভিআইপিদের জন্য বরাদ্দ এক নম্বর লিফট দিয়ে ওঠানামা করেন মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী। আজ সেই লিফটিও বিকল হয়ে যায়। লিফটের মধ্যেই আটকে পড়েন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ঘণ্টা খানেক পর এমারজেন্সি গেট দিয়ে বের করা হয় মন্ত্রীকে। প্রায় একঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকেও। লিফট বিভ্রাটের ভোগান্তির শিকার হয়েছেন কর্মচারিরাও।
বেলা সাড়ে দশটা থেকে কর্মচারিদের জন্য বরাদ্দ দুটি লিফট বন্ধ রাখা হয়। গতি বাড়ানোর জন্য চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কাজ চলে লিফটে। তার জেরেই নবান্নর সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায় কর্মীদের। অফিসে হাজিরাই দিতে পারেননি বহু কর্মী। সপ্তাহের প্রথম দিনে ফের এই লিফট বিভ্রাটে চরম অস্বস্তিতে প্রশাসন। লিফট বিভ্রাটে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীও। কখনও লিফট বিভ্রাট। কখনও চাঙড় খসে পড়া। কখনও আবার বৃষ্টিতে জল থই থই। পানীয় জলের সমস্যা তো রয়েইছে। কাজ শুরুর প্রথম দিন থেকেই বিভ্রাট নিত্যসঙ্গী নবান্নের।
৫ অক্টোবর
মহাকরণ থেকে প্রশাসনের সদর দফতর সরে যায় নবান্নয়।
৭ অক্টোবর
কাজ শুরুর প্রথম দিনেই জোড়া বিভ্রাট নবান্নে।
সকাল সাড়ে নটা
লিফটের সামনে লম্বা লাইন। হাজার খানেক কর্মীর জন্য বরাদ্দ একটিমাত্র লিফট। তাই লিফট বিভ্রাটের জেরে সরকারি কর্মচারীদের লাইন পৌঁছে যায় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে।
ওইদিনই দুপুরের টানা বৃষ্টিতে রীতিমতো জলমগ্ন হয়ে পড়ে নতুন সচিবালয়। গোড়ালি ডোবা জল ভেঙে যাতায়াত করতে হয় সরকারি কর্মীদের। বাড়ির ভেতরের অবস্থা আরও বেহাল। কোথাও বৃষ্টির জল বয়ে যায় সিঁড়ি দিয়ে। কোথাও বা অঝোরে জল ঝরে সিলিং বেয়ে।
১৩ অক্টোবর
ভেঙে পড়ে নবান্নর ভিআইপি গেটের ফলস সিলিং ও বেশ কিছু ইট। এই গেট দিয়েই যাতায়াত করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ছুটির দিন থাকায় বড় কোনও বিপদ ঘটেনি। ওই সিলিংটির ওপরেই ছিল জলের পাইপ লাইন। পূর্ত দফতরের অনুমান, জলের চাপেই ভেঙে পড়ে সিলিং।
২১ অক্টোবর
নবান্নয় ফের লিফট বিভ্রাট।
এসবের সঙ্গেই রয়েছে পানীয়জলের সমস্যাও।
কেন বারবার বিভ্রাটের মুখে পড়ছে নবান্ন?
প্রশাসনেরই একাংশের মতে আগাম সতর্কতা না নিয়ে তড়িঘড়ি উদ্বোধন করাতেই বারবার ঘটছে বিপত্তি।