লুকিয়ে কেউটে, তবু ১০৮-এর জোগান দিতে 'ফোনায়' হাত পদ্মচাষীদের
দুর্গাপুজোয় সবথেকে বেশি চাহিদা থাকে পদ্মফুলের। বর্ধমানের বিভিন্ন গ্রামে পদ্মচাষীদের মধ্যে তাই এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। পুকুর থেকে পদ্ম তুলে তা হিমঘরে মজুত করে রাখার কাজ চলছে পুরোদমে। শরতকালের শিশিরে তাড়াতাড়ি পচে যায় পদ্মফুল ও পাতা। তাই পুকুর থেকে তুলে হিমঘরে পদ্ম মজুত করে রাখেন চাষীরা।
ওয়েব ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় সবথেকে বেশি চাহিদা থাকে পদ্মফুলের। বর্ধমানের বিভিন্ন গ্রামে পদ্মচাষীদের মধ্যে তাই এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। পুকুর থেকে পদ্ম তুলে তা হিমঘরে মজুত করে রাখার কাজ চলছে পুরোদমে। শরতকালের শিশিরে তাড়াতাড়ি পচে যায় পদ্মফুল ও পাতা। তাই পুকুর থেকে তুলে হিমঘরে পদ্ম মজুত করে রাখেন চাষীরা।
আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন। আর তারপরই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে। বছরের অন্যান্য সময় বিভিন্ন পুজোয় পদ্ম ফুলের চাহিদা থাকলেও দুর্গাপুজোয় পদ্মফুলের চাহিদা সবথেকে বেশি। পুজোর দিনগুলিতে বটেই সবথেকে বেশি পদ্মফুল লাগে অষ্ঠমীর দিন। কারণ অষ্ঠমীতে ১০৮টি পদ্ম লাগে। বর্ধমানে পদ্মচাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে চাষীদের একটা বড় অংশ। দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো।
আর তাই পদ্মের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নাওয়া খাওয়া ভুলে পুকুর থেকে পদ্ম তুলে তা হিমঘরে মজুত করে রাখার কাজে ব্যস্ত চাষীরা। কিন্তু হিমঘরে রাখতে হচ্ছে কেন পদ্মফুলকে? চাষীদের মতে শরতের শেষে রাতে শিশির পড়ে। আর শিশির পড়লে খুব তাড়াতাড়ি পচে যায় পদ্মফুল ও পাতা। বছরের অন্যান্য সময় প্রতি পিস পদ্ম বিক্রি হয় দুই থেকে চার টাকায়। আর দুর্গাপুজোর সময় প্রতি পিস পদ্মের দাম বেড়ে দাঁড়ায় কমপক্ষে সাত থেকে দশ টাকা। ফলে সারা বছর পদ্ম চাষে যা খরচ হয় কার্যত দুর্গাপুজোর সময়ই তা পিষিয়ে য়ায়। যার ওপর নির্ভর করেই বছরের বাকী সময় সংসার চালান পদ্মচাষীরা।