পাঁচ দিন বাদে এইচআরবিসি ভবনে সরছে মহাকরণ, তার আগে সমীক্ষায় ধরা পড়ল বিস্তর সমস্যা

আর পাঁচ দিন পরেই মহাকরণ থেকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন দফতরকে পাঠানো হবে হাওড়ার এইচআরবিসি ভবনে। তবে শেষ মুহুর্তের সমীক্ষায় ধরা পড়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। সবচেয়ে বড় সমস্যা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে। সেকারণে নেওয়া হচ্ছে নতুন কিছু ব্যবস্থা। তবে ঠিক সময়ে কর্মীরা ওপরের তলার দফতরগুলিতে পৌঁছবেন কিভাবে, সেনিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

Updated By: Sep 17, 2013, 10:43 PM IST

আর পাঁচ দিন পরেই মহাকরণ থেকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন দফতরকে পাঠানো হবে হাওড়ার এইচআরবিসি ভবনে। তবে শেষ মুহুর্তের সমীক্ষায় ধরা পড়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। সবচেয়ে বড় সমস্যা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে। সেকারণে নেওয়া হচ্ছে নতুন কিছু ব্যবস্থা। তবে ঠিক সময়ে কর্মীরা ওপরের তলার দফতরগুলিতে পৌঁছবেন কিভাবে, সেনিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
কারণ ভবনের পাঁচটি লিফটের মধ্যে দুটো লিফটই মাল ওঠানো-নামানোর জন্য।আর দুসপ্তাহের মধ্যেই মন্দিরতলার এইচআরবিসি ভবনে  স্থানান্তরিত হবে মহাকরণ। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন দফতর যেতে শুরু করবে মন্দিরতলায়।  
এইচআরবিসি ভবনকে সাজিয়ে তোলার কাজ যখন পুরোদমে চলছে, তখন পূর্ত দফতরের কর্তাদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে রাজ্য পুলিসের  সমীক্ষা রিপোর্ট।  প্রশ্ন উঠেছে ভবনের অগ্নি সুরক্ষা বিধি নিয়েও। পানীয় জল সরবরাহ এবং যাত্রী পরিবহণের ব্যবস্থাও এত দ্রুত করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল নিরাপত্তা।
 
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেড ক্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর গা ঘেঁষা এই ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা চালু করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা নজরে এসেছে পুলিসকর্তাদের।
প্রাথমিক ভাবে যে ধরনের নিরাপত্তার কথা ভাবা হয়েছিল, সম্প্রতি মহাকরণের এক বৈঠকের পর তা আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। ফলে অর্ধেক কাজ হয়ে যাওয়ার পরেও পূর্ত দফতরকে নতুন করে সাজাতে হচ্ছে ভবনের ১৪ তলা।
চোদ্দ তলাতেই বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে রয়েছে ঝুল-বারান্দা। ওই বারান্দায় বাগান করার প্রস্তাব রয়েছে। পুলিসের বক্তব্য, এই বারান্দা খোলা রাখা মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার পক্ষে আদৌ সমীচিন নয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় ঝুলবারান্দা গাছ দিয়ে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই  ।
 
দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে সহজেই টার্গেট হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। গোয়েন্দাদের এই আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক হয়েছে, ভবন-সংলগ্ন সেতুর রেলিং ছফুট উঁচু  পার্টিশন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। যাতে হামলার জায়গা হিসেবে সেটিকে কাজে লাগানো না যায়।
 
পুলিসের রিপোর্ট উঠে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই ভবনে ওপরের ফ্লোরগুলিতে পৌঁছতে  কর্মীদের ন্যূনতম ৩০ মিনিট সময় লাগবে। কারণ ভবনে রয়েছে পাঁচটি লিফট। একটি লিফট শুধুমাত্র ভিআইপিদের জন্য। দ্বিতীয় লিফট ভবনের ভিতরের দিকে। সেখানে বাইরে থেকে ওপরে ওঠা সম্ভব নয়। তৃতীয় লিফট ব্যবহার করবেন সাধারণ কর্মীরা। চতুর্থ এবং পঞ্চম লিফট তৈরি হয়েছিল মালপত্র ওঠানো-নামানোর জন্য। ওই দুটি লিফটেই এক তলা থেকে দশতলায় উঠতে সময় লাগে বারো থেকে পনেরো মিনিট।স্বাভাবিক ভাবেই এইচআরবিসি ভবনে যে আড়াই হাজার কর্মী যাবেন, তাঁদের নিজেদের দফতরে পৌঁছতেই লেগে যাবে অন্তত আধঘণ্টা।
 
ভবনের অগ্নিসুরক্ষা বিধি যথাযথ নয় বলে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দিয়েছেন ডিজি ফাযার  ডি পি তারেনিয়া।  তিনি বলেন, ওই ভবন গার্মেন্টস পার্ক হিসেবে তৈরি হয়েছিল। ফলে এটি অফিস বাড়ির মত করে গুছিয়ে নিতে বাড়তি কিছু ব্যবস্তা করতেই হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভবনে যথেষ্ট সংখ্যায় এক্সিট এবং ওপেন উইনডো নেই, ব্যবস্থা নেই স্প্রিংলারেরও। এগুলি সবই নতুন করে করতে হচ্ছে।
 
 

.