`কিন্তু` রেখে পাহাড়ে নির্বাচনে রাজি মোর্চা

সুরে খাদে নামল মোর্চার। শেষ পর্যন্ত তরাই-ডুয়ার্স ছাড়াই জিটিএ নির্বাচনে রাজি হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। শনিবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুঙের বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান গুরুং স্বয়ং। তবে তরাই-ডুয়ার্সের দাবি থেকে সরে আসেনি মোর্চা। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন ও তরাই-ডুয়ার্সের অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া চলবে সমান্তরাল ভাবে।

Updated By: Mar 24, 2012, 06:45 PM IST

সুরে খাদে নামল মোর্চার। শেষ পর্যন্ত তরাই-ডুয়ার্স ছাড়াই জিটিএ নির্বাচনে রাজি হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। শনিবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুঙের বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান গুরুং স্বয়ং। তবে তরাই-ডুয়ার্সের দাবি থেকে সরে আসেনি মোর্চা। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন ও তরাই-ডুয়ার্সের অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া চলবে সমান্তরাল ভাবে। পাহাড়বাসীকে পৃথকরাজ্যের স্বপ্ন দেখিয়ে স্বশাসিত পরিষদের চুক্তিতে সই করার পর মোর্চা নেতাদের কাছে এছাড়া কোনও পথ ছিল না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর জিটিএ চুক্তি আইনে রূপান্তরিত হতেই পাহাড়ে নির্বাচন করাতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। সেই মতো শুরু হয় নির্বাচন প্রক্রিয়াও। কিন্তু তরাই-ডুয়ার্সের জিটিএভুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত না-হওয়া পর্যন্ত মোর্চা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে ঘোষণা করেছিল দলীয় নেতৃত্ব। সমাধানসূত্র খুঁজতে এর পরই মমতা-মোর্চা বৈঠকের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়। শনিবার সেই বৈঠকের পর মোর্চার সুর ছিল বেশ নরম। জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী নির্বাচন মেনে নিতে কার্যত বাধ্য হন পাহাড়ের নেতারা। বৈঠক শেষে রোশন গিরিরা জানালেন, আপাতত ডিজিএইচসি অঞ্চলে নির্বাচন মেনে নিচ্ছেন তাঁরা। নির্বাচন হবে জুলাইয়ের প্রথম দিকে। তবে জারি থাকবে তরাই-ডুয়ার্সের অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়াও। এ বিষয়ে রাজ্য সরকার নিযুক্ত কমিটি জুনের প্রথমে রিপোর্ট পেশ করবে। সেই রিপোর্ট মেনে নিতে বাধ্য থাকবে সরকার ও মোর্চা দুপক্ষই। তবে রিপোর্টে তরাই-ডুয়ার্সের কোনও অংশকে জিটিএ-তে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব থাকলেও নির্বাচন হবে না সংযোজিত অঞ্চলে। পরিবর্তে সেখান থেকে মনোনীত প্রতিনিধি পাঠাবে রাজ্য সরকার।
এদিনের বৈঠকে রাজ্যসভায় পাহাড়ের প্রতিনিধি পাঠানো নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোর্চা নেতৃত্বের আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোর্চার দাবিকে সমর্থন না-করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দলীয় নেতৃত্ব। বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিবেচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান বিমল গুরুং।
তবে এদিনের বৈঠকের পরও পাহাড় সমস্যার সমাধান নিয়ে অনেক `কিন্তু` থেকে যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তরাই-ডুয়ার্সের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে নিযুক্ত কমিটির রিপোর্ট যদি মোর্চার বিরুদ্ধে যায়, তাহলেও কি সেই রিপোর্ট মেনে নেবেন রোশন গিরিরা? কারণ, জিটিএ চুক্তিতে সই করায় ইতিমধ্যেই পাহাড়বাসীর প্রত্যাশার সামনে বেশ চাপে মোর্চা নেতারা। তরাই-ডুয়ার্সের অন্তর্ভুক্তির আশ্বাসই এখন তাঁদের শান্ত রাখার জন্য মোর্চা নেতৃত্বের কাছে একমাত্র হাতিয়ার।

.