বাঁকুড়ায় শিক্ষক নিয়োগে তৃণমূলের মাতব্বরি
স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে এবার কাঠগড়ায় বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। ওন্দা থানার লোধনা মানখামার হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, স্কুলটিতে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যের শাসকদলের স্থানীয় নেতারা। স্বল্প সময়ের জন্য এক শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে কয়েকজন তৃণমূল নেতা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়মিত হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের। তবে আইন অনুসারে পদটির জন্য আদিবাসী ওই প্রার্থীই যোগ্য বলে জানিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক।
স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে এবার কাঠগড়ায় বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। ওন্দা থানার লোধনা মানখামার হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, স্কুলটিতে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যের শাসকদলের স্থানীয় নেতারা। স্বল্প সময়ের জন্য এক শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে কয়েকজন তৃণমূল নেতা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়মিত হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের। তবে আইন অনুসারে পদটির জন্য আদিবাসী ওই প্রার্থীই যোগ্য বলে জানিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক।
বাঁকুড়ার ওন্দা থানার লোধনা মানখামার হাইস্কুলের একজন স্থায়ী আদিবাসী শিক্ষিকা ৪ মাসের ছুটি নেওয়ায়, সাময়িক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ওই পদে সাময়িকভাবে বহাল করতে হয় কোনও আদিবাসী প্রার্থীকেই। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে সংবাদপত্রে দেওয়া বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেন একজন প্রার্থী। ১৫ মার্চ ইন্টারভিউ দিয়ে পদটির জন্য মনোনীত হন আদিবাসী যুবক রঘুনাথ সোরেন। আর অশান্তির শুরু সেই সময় থেকেই।
অভিযোগ, ইন্টারভিউ চলাকালীনই স্কুলের ভিতরে ঢুকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বানচালের চেষ্টা করেন স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক। তাঁদের দাবি, পদটিকে আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত না-রেখে সাধারণ ঘোষণা করতে হবে। কারণ, সাধারণ বা তফশিলি জাতির ক্ষেত্রে কোনও পদে একজন আবেদনকারী থাকলে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। একমাত্র তফশিলি উপজাতির ক্ষেত্রে একটি পদে একজন মাত্র আবেদনকারী থাকলেও জারি থাকবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। জেলা স্কুল পরিদর্শকের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইন্টারভিউ বোর্ড রঘুনাথ সোরেন নির্বাচিত হওয়ার পর তৃণমূলীরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওই যুবকের। এমনকী, তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা নিয়মিত তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে সাময়িকভাবে স্কুল বন্ধ রাখারও আর্জি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। অন্যদিকে সাময়িক শিক্ষকের পদের জন্য নির্বাচিত ওই আদিবাসী প্রার্থীকেই নিয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক।