একাধিক বিতর্কে জর্জরিত তৃণমূল, দলকে চাঙ্গা করতে জেলায় জেলায় যাবেন স্বয়ং মমতা

সারদা থেকে বর্ধমান বিস্ফোরণ। একের পর এক ঘটনায় চাপ বাড়িয়েছে তৃণমূলের অভ্যন্তরে। সেই অস্বস্তি কাটাতেই পথে নামছেন দলনেত্রী। সাংগঠনিক স্তরে রদবদল করে এবার দলকে চাঙ্গা করতে জেলা জেলায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম।

Updated By: Oct 18, 2014, 05:47 PM IST
একাধিক বিতর্কে জর্জরিত তৃণমূল, দলকে চাঙ্গা করতে  জেলায় জেলায় যাবেন স্বয়ং মমতা

ব্যুরো: সারদা থেকে বর্ধমান বিস্ফোরণ। একের পর এক ঘটনায় চাপ বাড়িয়েছে তৃণমূলের অভ্যন্তরে। সেই অস্বস্তি কাটাতেই পথে নামছেন দলনেত্রী। সাংগঠনিক স্তরে রদবদল করে এবার দলকে চাঙ্গা করতে জেলা জেলায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম।

তদন্তে এনআইএ। অস্বস্তিতে রাজ্য।

গত কয়েক মাসে এরকম ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ঘটনা। অস্বস্তি বাড়ছিল সরকারের। চাপ আসছিল দলের অভ্যন্তরেও। তারই মধ্যে বেশ কিছু নেতার ভূমিকা ঘিরে বিতর্ক।

দলের এই অস্বস্তি কাটাতে আসরে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। প্রথমেই সাংগঠনিক স্তরে রদবদল। যুব-যুবা মিলিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব। ছাত্র সংগঠন থেকে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে সরিয়ে একেবারে নতুন মুখ অশোক রুদ্র। জেলার সাংগঠনিক ক্ষেত্রেও বেশ কিছু দায়িত্বের রদবদল। মুকুল রায়ের কিছুটা ক্ষমতা কেড়ে কড়া বার্তা দলীয় নেত্রীর। বুঝিয়ে দিলেন দলের এখনও শেষ কথা তিনিই।

সাংগঠনিক রদবদলের পাশাপাশি নিজেই রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জেলা সফরে গেলেও এখন আর তেমনভাবে দলীয় সভা-সমাবেশ করতে জেলায় যেতে পারেন না তিনি। দায়িত্ব সামলাতেন মুকুল রায়। এবার ছটি পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনে নিজে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন এই পথে হাঁটতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে? তৃণমূল মহলের জল্পনায় উঠে আসছে একাধিক কারণ।

নিজের হাতে রাজ্যপাট রেখে দল দেখতে বলেছিলেন মুকুল রায়কে। কিছু অভিযোগ আসতেই রদবদলের সিদ্ধান্ত।

ছাত্র এবং যুব সংগঠনের কিছু ভূমিকায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছিল। তাই ছাত্র ও যুবতে দ্রুত রদবদল।

ক্রমশই চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। জেলার মধ্যেও ভাঙনের ইঙ্গিত আসতে শুরু করেছে। সে কারণেই নিজে রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সব চেয়ে বড় কথা, দলের যে সমস্ত নেতা-নেত্রীর নাম সারদাকাণ্ডে কোনও না কোনও ভাবে আলোচনায় উঠে আসছে, তাদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে দিল তৃণমূল। অর্থাত্ তৃণমূলনেত্রী বুঝিয়ে দিলেন দলের ভাবমূর্তির সঙ্গে কোনও আপোশ নয়।

 

.