'খাদ্যসাথীকে অগ্রাধিকার', কাজের হিসাব বুঝে নেবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই
কাজের হিসাব বুঝে নেবেন। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, প্রশাসনিক কাজে পঞ্চায়েতের মত ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থা চালু হবে। শুধু প্রকল্প চালু নয়, তার নজরদারিতেও জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওয়েব ডেস্ক: কাজের হিসাব বুঝে নেবেন। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, প্রশাসনিক কাজে পঞ্চায়েতের মত ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থা চালু হবে। শুধু প্রকল্প চালু নয়, তার নজরদারিতেও জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপারের দফতরে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের শুরু থেকে শেষ, মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা ছিল "সমস্যা থাকবে, তা থেকে বেরিয়ে এসে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করতে হবে। নির্বাচনের জন্য অনেক কাজ করা যায়নি। সবাই সক্রিয় হোন, কাজ থেমে থাকলে চলবে না। আমি অপেক্ষা করতে পারব না"। একইসঙ্গে পঞ্চায়েতের মত ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার তৈরি করে সবাইকেই তা মেনে চলতে হবে। শুধু প্রকল্প চালু করলেই হবে না, তা রূপায়ণের জন্য নজরদারিরও প্রয়োজন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যাঁর প্রয়োজন, এমন মানুষ যেন বঞ্চিত না হন। খাদ্যসাথী কার্ডের কাজ দ্রুত শেষ করতে প্রশাসনকে সাহায্য করার জন্য জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলে এলাকার যুবক ও ক্লাবগুলিকে প্রকল্পের কাজে যুক্ত করতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন দফতরের কাজের সঙ্গে একশো দিনের কাজকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর নির্দেশ, শিশুরা যেন কোনওভাবেই হেঁটে দূরের স্কুলে না যায় এবং মিড ডে মিলে স্কুল ইন্সপেক্টরদের নজরদারির নির্দেশও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।