রাজ্যে আমের ফলন নিয়ে মাথায় হাত চাষিদের

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি বছরভর উদ্বেগে রাখে রাজ্যবাসীকে। এর সঙ্গে এবছর গ্রীষ্মের মরশুমে দুর্ভাবনা বাড়াচ্ছে আমের ফলন। এবার জেলায় জেলায় আমচাষের যা অবস্থা, তাতে হিমসাগর, ল্যাঙরা, বোম্বাই-- এমন নানা জাতের আম হাতের নাগালে পাওয়া বোধহয় দুষ্কর হয়ে উঠতে চলেছে সাধারণ মানুষের কাছে।

Updated By: May 5, 2012, 07:55 PM IST

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি বছরভর উদ্বেগে রাখে রাজ্যবাসীকে। এর সঙ্গে এবছর গ্রীষ্মের মরশুমে দুর্ভাবনা বাড়াচ্ছে আমের ফলন। এবার জেলায় জেলায় আমচাষের যা অবস্থা, তাতে হিমসাগর, ল্যাঙরা, বোম্বাই-- এমন নানা জাতের আম হাতের নাগালে পাওয়া বোধহয় দুষ্কর হয়ে উঠতে চলেছে সাধারণ মানুষের কাছে। চুঁচুড়া, মগরা, পোলবা, সিঙ্গুর-সহ  হুগলি জেলার জেলার যে সব অঞ্চলে আমচাষ হয়, সেখানে এবছর আম প্রায় হয়নি বলেই জানিয়েছেন চাষিরা। একই অবস্থা মালদা, মুর্শিদাবাদেও।
জেলায় প্রতি বছর গড়ে আম উত্‍পাদন হয় প্রায় ২৫,০০০ টন। কিন্তু এবার উত্‍পাদন ১০ শতাংশও ছাড়াবে না বলে আশঙ্কা আমচাষিদের। মরসুমের শুরুতে চাষিরা সাধারণত আমগাছ লিজ নেন। এরপর কীটনাশক দিয়ে চলে গাছগুলির পরিচর্যা। অনেকে আবার গোটা বাগানই লিজ নিয়ে নেন। কিন্তু প্রত্যাশামত ফলন না হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সকলেই। আমচাষে ক্ষতির জন্য আবহাওয়াকেই মূলত দায়ী করেছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। এত কম ফলন সচরাচর দেখা যায় না বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে শস্যবীমার সুযোগ থাকলেও, আমের ক্ষেত্রে তা নেই। ফলে ক্ষতি হলেও আমচাষিরা কোনও সরকারি সাহায্যই পাবেন না। তাই এরপর কীভাবে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না আমচাষিরা।
 

.