রোদ পোহাতে এসে চোরাশিকারিদের ফাঁদে অস্তিত্ব বিপন্ন পরিযায়ী পাখিদের
বাঁকুড়ায় চোরাশিকারের ফাঁদে পরিযায়ীরা। প্রতিদিন নির্বিচারে মেরে ফেলা হচ্ছে হাজার হাজার ব্রাহমিনি শিলডাক ও নর্দার্ন পিন্টেলকে। চড়া দামে বিকোচ্ছে সেই মাংস। আর মানুষের লোভের গুনাগার দিচ্ছে বাস্তুতন্ত্র।
ওপারে বর্ধমানের পানাগড়। এদিকে, বাঁকুড়ার সোনামুখী। মাঝে দামোদরের চড়। অলস স্রোতে এই নরম রোদের হাতছানিই ওদের টেনে আনে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ওরা আমাদের শীতের অতিথি। সেই অতিথির অস্তিত্বই এখন বিপন্ন। দামোদরের দুই পাড়ের গ্রামগুলিতে চলছে পরিযায়ীর মাংসের জমাটি কারবার। নদীর উজানে ফড়িং বা ছোট মাছের পেট চিরে পুরে দেওয়া হয় বিষদানা। জলের স্রোত বেয়ে আসা সেই মাছ বা ফড়িং খেয়ে মারা যাচ্ছে পাখীরা। পাখি শিকারে বন্দুকের ব্যবহারও চলছে। বেলাগাম চোরাশিকারে হুহু করে কমছে ব্রাহমিনি শিলডাক কিংবা নর্দার্ন পিন্টেলের সংখ্যা।
চোরাশিকারের কথা অজানা নয় বনদফতরেরও। কিন্তু, বিস্তীর্ণ নদীর চরে যে নজরদারি সহজ নয়, তাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন বনকর্তারা। তাঁদের প্রশ্ন, পরিযায়ীদের বাঁচাতে কেন সক্রিয় হবেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজনীতিকরাই বা করছেন কী?