মোর্চার সঙ্গে সংঘর্ষ, পাহাড়ে ফের উড়ল জিএনএলএফ-এর পতাকা
জিএনএলএফের তেত্রিশতম প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায়। পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন মোট ৫ জন জিএনএলএফ কর্মী। দলীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, জিএনএলএফের কর্মসূচী বানচাল করতেই জনমুক্তি মোর্চা সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তবে কার্শিয়াং মহকুমার অন্তর্গত গাড়িধোড়া এবং মিরিকে এই দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সমস্ত দায় অস্বীকার করেছে মোর্চা নেতৃত্ব।
জিএনএলএফের তেত্রিশতম প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায়। পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন মোট ৫ জন জিএনএলএফ কর্মী। দলীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, জিএনএলএফের কর্মসূচী বানচাল করতেই জনমুক্তি মোর্চা সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তবে কার্শিয়াং মহকুমার অন্তর্গত গাড়িধোড়া এবং মিরিকে এই দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সমস্ত দায় অস্বীকার করেছে মোর্চা নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার জিএনএলএফের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষ্যে দুটি পৃথক কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছিল দলীয় নেতৃত্বের তরফে। কার্শিয়াং মহকুমার অন্তর্গত গাড়িধোড়া এবং মিরিখে জিএনএলএফের জনভিত্তি অপেক্ষাকৃত মজবুত হওয়ায় এই দুই জায়গাতেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে জিএনএলএফ নেতৃত্বের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রশাসনিক অনুমতি থাকা সত্ত্বেও জবরদস্তি অনুষ্ঠান বানচাল করে দেন মোর্চা সমর্থকরা। অভিযোগ ভোর ৪টে নাগাদ গাড়িধোড়ায় অনুষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট মাঠটি দখল করে পুজোপাঠ শুরু করে দেন মোর্চা কর্মীরা। এরপর সকাল দশটা নাগাদ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পৌঁছোলে জিএনএলএফের সমর্থকদের ওপরে হামলাও চালানো হয় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহতও হয়েছেন দুজন জিএনএলএফ কর্মী। জিএনএলএফের এই কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে অশান্তির আশঙ্কা থাকায় বুধবার থেকেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিসবাহিনী।
সংঘর্ষ হয় মিরিকেও। প্রশাসনের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও সেখানে অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর ফলে দুদলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে জিএনএলএফের তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন। দুটি জায়গাতেই ঘটনার দায়ে এড়িয়েছে মোর্চা নেতৃত্ব।
ঘটনায় পরিষ্কার, পাহাড়ে ফের জন সমর্থন ফিরে পাচ্ছে জিএনএলএফ। গুরুঙের হাত ধরে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন পাহাড়বাসী। রাজ্য তো মেলেই নি, উলটে সুবাস ঘিসিঙের দেখানো স্বশাসিত পরিষদের পথই বেছে নিতে হয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে। যে উন্নয়নের স্বপ্ন গুরুংরা দেখিয়েছিলেন, তারও অনেকটাই আধরা। ফলে পাহাড়ে সমর্থন ফিরে পেতে শুরু করেছে জিএনএলএফ। এতে ভয় পেয়েই মোর্চা হামলা চালিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।