সঠিক পরিকল্পনার অভাব, মুকুটমণিপুর থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন পর্যটকরা
জল, জঙ্গল, পাহাড়ের অপূর্ব মেলবন্ধন। বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর। দক্ষিণবঙ্গের সেরা পর্যটনকেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি এখানে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। কিন্তু অভিযোগ, সবটাতেই পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট। হোটেলে অস্বাভাবিক ভাড়াও বিমুখ করছে পর্যটকদের।
ওয়েব ডেস্ক: জল, জঙ্গল, পাহাড়ের অপূর্ব মেলবন্ধন। বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর। দক্ষিণবঙ্গের সেরা পর্যটনকেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি এখানে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। কিন্তু অভিযোগ, সবটাতেই পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট। হোটেলে অস্বাভাবিক ভাড়াও বিমুখ করছে পর্যটকদের।
মুকুটমণিপুর পর্যটনকেন্দ্রের মূল আকর্ষণ এই জলাধার। এখানে এসে মিলিত হয়েছে কংসাবতী ও কুমারী নদীর জল। এই বিপুল জলরাশি ও তার চারদিকে জঙ্গলে ঢাকা পাহাড় দেখতে পর্যটকদের ঢল নামে প্রতি বছর।
কিন্তু অভিযোগ, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ইদানিং জলাধারে জল থাকছে না। এবছর জলাধার থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছেড়ে দেওয়ায়, গ্রীষ্মের চেয়েও এখন খারাপ হাল জলাধারের। সব দেখে হতাশ পর্যটকরা।
পর্যটক ধরে রাখতেই এখানে তৈরি করা হয়েছে ডিয়ার পার্ক। কিন্তু তা মুকুটমণিপুর পর্যটনকেন্দ্র থেকে বহুদূরে। আশেপাশে কোথাও শৌচালয় না থাকাও আরেক সমস্যা। অভিযোগ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাচ্ছে মুকুটমণিপুর। সবটাই সঠিক পরিকল্পনার অভাবে। স্থানীয় হোটেলগুলি নিয়েও অভিযোগ কম নেই।
পশ্চিমবঙ্গকে টুরিস্ট ডেস্টিনেশন বানাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পর্যটকদের হা-হুতাশ, এত ক্ষোভ পিছনে ঠেলে দিচ্ছে না তো মুকুটমণিপুরকে?