হুগলির হোমে রহস্যমৃত্যু, দেহ পুঁতে ফেলার অভিযোগ

মানসিক প্রতিবন্ধী এক রোগীকে শ্লীলতাহানির পর তাঁর মৃত্যু এবং সেই মৃতদেহ হোমের মধ্যেই পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। হুগলির ধনেখালির খাজুরদহ গ্রামের দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমে এই ঘটনা ঘটেছে।

Updated By: Jul 11, 2012, 03:08 PM IST

মানসিক প্রতিবন্ধী এক রোগীকে শ্লীলতাহানির পর তাঁর মৃত্যু এবং সেই মৃতদেহ হোমের মধ্যেই পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। হুগলির ধনেখালির খাজুরদহ গ্রামের দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমে এই ঘটনা ঘটেছে।
বাঁকুড়ার গোবিন্দনগর থেকে গত মে মাসে গুড়িয়া নামে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। তারপর থেকে দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমেই থাকতেন তিনি। অভিযোগ, শ্যামল নামের এক ব্যক্তি হোমের আবাসিক গুড়িয়া নামের এক মহিলাকে প্রথমে মারধর ও পরে তাঁর শ্লীলতাহানি করে। শ্যামল হোমে খাবার দিতে আসত বলে জানা গিয়েছে। মারধরের পর গুড়িয়ার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এরপর পুলিসকে না জানিয়েই গুড়িয়ার দেহ হোমের ভিতরে পুঁতে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হোমের আবাসিকরা।

হোমের আবাসিকদের একাংশ জানিয়েছেন, ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল গুড়িয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ। ২৬ জুন সন্ধেয় দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। যদিও হোম কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ১ জুলাই হোমেরই একটি ঘর থেকে গুড়িয়ার দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। হোমের সেক্রেটারি নিজেই গুড়িয়ার ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেন।
ধনেখালির দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমের সভাপতি উদয় চাঁদ কুমারের দাবি, খাট থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে গুড়িয়ার। প্রথমে জানালেন, অন্য এক ডাক্তার গুড়িয়ার ডেথ সার্টিফিকেট লিখেছিলেন। চেপে ধরতেই বয়ান যায় বদলে। জানালেন, তিনিই ডেথ সার্টিফিকেট লিখেছিলেন। হোমের আরেক আধিকারিক আবার দাবি করেন, দামোদর নদের ধারে গুড়িয়াকে দাহ করা করা হয়েছে। সবশেষে চাপের মুখে পড়ে হোম কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নেয় গুড়িয়াকে পুঁতে ফেলার কথা। এর পরই পুলিসের উপস্থিতিতে হোম চত্বরের মাটি খুঁড়ে শুরু হয় গুড়িয়ার দেহের সন্ধান। রহস্যে মোড়া এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই স্থানীয় জনমানসে অসংখ্য প্রশ্ন উঠেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে খুনের সম্ভাবনা।

.