ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত সংকট, পরিষেবা ব্যহত বাঁকুড়া হাসপাতালগুলিতে
কার্যত রক্তশূণ্য হয়ে পড়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজের ব্লাডব্যাঙ্ক। অবস্থা এতটাই খারাপ, যে রোগীর পরিবারের কেউ রক্ত না দিলে ব্লাডব্যাঙ্ক থেকে মিলছে না রক্ত। রক্তের অভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে বহু গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার। রক্ত জোগাড় করতে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা।
কার্যত রক্তশূণ্য হয়ে পড়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজের ব্লাডব্যাঙ্ক। অবস্থা এতটাই খারাপ, যে রোগীর পরিবারের কেউ রক্ত না দিলে ব্লাডব্যাঙ্ক থেকে মিলছে না রক্ত। রক্তের অভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে বহু গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার। রক্ত জোগাড় করতে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা।
বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতাল বাদে ব্লাডব্যাঙ্ক রয়েছে কেবলমাত্র বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জেলার সবকটি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল এবং জেলার পঞ্চাশটিরও বেশি নার্সিংহোম রক্তের জন্য নির্ভর করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল জলেক ব্লাড ব্যাঙ্কের ওপরই।এছাড়াও জেলার শতাধিক থ্যালাসেমিয়া রোগীর রক্ত দেওয়া হয় এই হাসপাতাল থেকেই। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে চল্লিশ থেকে ষাট ইউনিট রক্ত দেওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে। কিন্তু সেই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কেই দেখা দিয়েছে রক্ত সংকট। রক্তের অভাবে আটকে যাচ্ছে বহু গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার। রক্তদাতাদের সঙ্গে না নিয়ে গেলে রক্ত পাচ্ছেন না রোগীর আত্মীয়রা।
কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই, মূলত গত দুমাস ধরে চলা তীব্র গরম ও লোকসভা নির্বাচনের জন্য সেরকমভাবে জেলাজুড়ে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়নি। আর তার ফলেই দেখা দিয়েছে তীব্র রক্তসংকট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশা চলতি মাসে রক্তদান শিবির চালু হয়ে গেলে মিটবে ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্ত সংকট।