খাগড়গড় বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার তলব এনএসজি কমান্ডোদের
খাগড়গড় বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার তলব করা হল এনএসজি কমান্ডোদের। শিমুলিয়ার ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন এনএসজি কমান্ডোরা। গতকাল দিনভর শিমুলিয়ার ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন পুকুর দুটিতে এনআইএর উপস্থিতিতে তল্লাসি চালায় সিআইডির বম্ব স্কোয়াড। শিমুলিয়ায় উদ্ধার হওয়া ন্যানো গাড়িটি থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
ওয়েব ডেস্ক: খাগড়গড় বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার তলব করা হল এনএসজি কমান্ডোদের। শিমুলিয়ার ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন এনএসজি কমান্ডোরা। গতকাল দিনভর শিমুলিয়ার ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন পুকুর দুটিতে এনআইএর উপস্থিতিতে তল্লাসি চালায় সিআইডির বম্ব স্কোয়াড। শিমুলিয়ায় উদ্ধার হওয়া ন্যানো গাড়িটি থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, রাজ্য পুলিস এবং সিআইডির বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করল এনআইএ। একটি লিখিত বিবৃতিতে মিডিয়ায় রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে যে অসহযোগিতার কথা বলা হচ্ছে তা খারিজ করা হয়েছে। যদিও বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে সিআরপিএফের সাহায্য চাইল এনআইএ।
শিমুলিয়ার ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তল্লাসি চালিয়ে চাঞ্চল্যকর প্রমাণ পেল NIA। ওই প্রতিষ্ঠানে মিলেছে একটি গোপন সুরঙ্গের হদিশ। একটি ঘরের দেওয়ালে লুকনো ছিল সেই সুরঙ্গে যাওয়ার রাস্তা। রাস্তাটি বর্গাকার একটি জানালার মতো। সেই জানালা পেরিয়েই পৌছে যাওয়া যায় মাটির নীচে গোপন কুঠুরিতে। ওই কুঠুরিটি কী কাজে ব্যবহার হত, আপাতত তাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে আজ বীরভূমে NIA অফিসাররা। কীর্ণাহারের নানুর থানার নিমরে গ্রামে জঙ্গি মডিউলের সদস্য হাবিবুর শেখের বাড়ি। বর্ধমানের বাবুরবাগের ভাড়াবাড়িতে বিস্ফোরক বাহক কওসরের সঙ্গে থাকত হাবিবুর। হাবিবুরই কদর শেখ ছদ্মনামে ওই ভাড়া নিয়েছিল বলে জানিয়েছেন বাড়ির মালিক। খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের পর থেকেই পলাতক হাবিবুর। নিমরে গ্রামের বাড়িতে গিয়েও, হাবিবুর বা তার স্ত্রীর খোঁজ মেলেনি। তার বাড়ি থেকে জঙ্গিযোগের কোনও সূত্র মেলে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই আজ হবিবুরের বাড়িতে তল্লাসি চালাচ্ছে NIA।
খাগড়াগড় রহস্যের জাল ভেদ করতে বেলডাঙ্গায় শাকিল গাজির বাড়িতে NIA-তদন্তকারীর দল। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের বহু যোগসূত্রই মিলেছে বেলডাঙা থেকে। খাগড়াগড়ের গ্রেনেড কারখানার তৈরি বোমা, বেলডাঙা সীমান্ত দিয়েই বাংলাদেশে পাচার হত বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। বেলডাঙারই একটি স্কুলে পড়ত শাকিল গাজির পাঁচ বছরের ছেলে। কিন্তু, গত ছাব্বিশে অগাস্ট থেকে তার খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ শাকিল গাজির বড় মেয়েরও। জঙ্গি মডিউলের রহস্যভেদে ওই দুই শিশুর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন NIA তদন্তকারীরা। সবদিক খতিয়ে দেখতে আজ বেলডাঙ্গায় শাকিল গাজির বাড়িতে তল্লাসি চালাচ্ছে তিন সদস্যের NIA টিম।
বর্ধমানে জেহাদি জঙ্গি মডিউলের রহস্য ভেদে ইউসুফের সহযোগী বোরহান শেখের বাড়িতে তল্লাসি করল NIA। শিমুলিয়ায় বোরহান শেখের দান করা জমিতেই গড়ে উঠেছিল জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। সেই প্রশিক্ষণ শিবির চালাত ইউসুফ। ওই শিবিরে বোরহানেরও যাতায়াত ছিল বলে তদন্তে জেনেছেন NIA-র গোয়েন্দারা। শিমুলিয়ার পাশের গ্রাম কৃষ্ণবাটিতেও পঁচিশ একর জমিতে একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছিল বোরহান। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর থেকেই বোরহান বেপাত্তা। তার হদিশ মিললে জঙ্গি মডিউলের মাথাদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
রাজ্যে জঙ্গি মডিউলের জাল কাটতে তদন্তে গতি বাড়াচ্ছে NIA। জঙ্গিযোগের সূত্রকে হাতিয়ার করে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ছেন তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান যেসব জেলায় জঙ্গিযোগের প্রমাণ মিলেছে, সবজায়গায় একসঙ্গে অভিযান চালাচ্ছে NIA তদন্তকারীরা। রাজ্যে আসছেন আরও তদন্তকারী। রাজ্য পুলিসের সঙ্গে NIA তদন্তের তফাত্ ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়েছে। প্রতিদিনই তদন্তে উদ্ধার হচ্ছে নিত্যনতুন তথ্যপ্রমাণ।