বর্ষায় আন্ত্রিকে মৃত এক, জেলায় জেলায় আশঙ্কা বাড়ছে এনসেফালাইটিসের
বর্ষা পড়তে না পড়তেই জেলায় জেলায় ছড়িয়েছে আন্ত্রিকের প্রকোপ। আন্ত্রিকে ইতিমধ্যেই বর্ধমানে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। আক্রান্ত আরও বেশকয়েকজন। একই ছবি কোচবিহারেও। প্রশ্নের মুখে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা।
ব্যুরো: বর্ষা পড়তে না পড়তেই জেলায় জেলায় ছড়িয়েছে আন্ত্রিকের প্রকোপ। আন্ত্রিকে ইতিমধ্যেই বর্ধমানে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। আক্রান্ত আরও বেশকয়েকজন। একই ছবি কোচবিহারেও। প্রশ্নের মুখে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা।
দিন দশ পনেরো থেকেই দুর্গাপুরের পাণ্ডবেশ্বরের বাউড়িপাড়া, ডিভিসি কলোনি সহ একাধিক এলাকায় দেখা দিয়েছে আন্ত্রিকের প্রকোপ। ইতিমধ্যেই আন্ত্রিকে মৃত্যু হয়েছে মনীশা বাউড়ি নামে এক নবছরের শিশুর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। পরে বুধবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মৃত শিশুর বাবা নারায়ন বাউড়িও।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল ও পাণ্ডবেশ্বরের বিশ্বেশ্বরের হাসপাতালে ভর্তি আরও বহু আক্রান্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আন্ত্রিকের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পরও উদাসীন জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
গত বছর জাপানী এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গে প্রাণ হারান বহু মানুষ। এবছরও বর্ষার শুরু থেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। চিকিত্সা শুরু হলেও কমছে না জ্বর। টানা পনেরো দিন ধরে জ্বর, মাথার যন্ত্রণা সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি অনেকে। আর তাতেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে জাপানী এনসেফালাইটিসের আতঙ্ক। আতঙ্কগ্রস্থ গোটা কোচবিহার।
যদিও এবিষয়ে তেমন হেলদোল নেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। তবে রোগ মোকাবিলায় ডেঙ্গু, জাপানী এনসেফালাইটিসের কিট নিয়ে তৈরি এমজেএল হাসাপাল।