তাদের পীরসাহেব শায়িত মাটির নিচে, তাই গোটা গ্রাম শোয় মাটির বিছানাতে
শুতে হবে মাটির বিছানাতেই। খাট-চৌকি চলবে না। কারণ গ্রামের আরাধ্য পীরসাহেবও যে ঘুমিয়ে আছেন মাটির নিচে। যুগ যুগ ধরে এই বিশ্বাসই আঁকড়ে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের পীরপাল গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের পীরসাহেব ইতিহাসখ্যাত যোদ্ধা বখতিয়ার খিলজি।
২৪ ঘণ্টা জেলা ডেস্ক: শুতে হবে মাটির বিছানাতেই। খাট-চৌকি চলবে না। কারণ গ্রামের আরাধ্য পীরসাহেবও যে ঘুমিয়ে আছেন মাটির নিচে। যুগ যুগ ধরে এই বিশ্বাসই আঁকড়ে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের পীরপাল গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের পীরসাহেব ইতিহাসখ্যাত যোদ্ধা বখতিয়ার খিলজি।
মাত্র সতেরোজনের ঘোড়সওয়ার বাহিনী। আর তাই নিয়েই নাকি লক্ষ্ণণ সেনকে হারিয়ে গৌড়বঙ্গের দখল নিয়েছিলেন বখতিয়ার খিলজি। এর ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে ভিনদেশি হামলাকারী হিসেবে বখতিয়ার খিলজি বাংলার ইতিহাসে একরকম ভিলেনই। ব্যতিক্রম দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের পীরপাল গ্রাম। হাজার তিনেক মানুষের বাস এই গ্রামে। আছে একটি প্রাথমিক স্কুল, গঙ্গারামপুরের সঙ্গে সংযোগকারী পাকা রাস্তাও। আর আছে বখতিয়ার খিলজির সমাধি। যুগ যুগ ধরে নানা লোকগাথা সূত্রে যাকে গ্রামবাসীরা মানেন একজন পীর বলে।
একে পীর, তারওপর একসময়ের রাজাও। তিনি শায়িত মাটির নিচে। গ্রামবাসীরা কি আর খাটে শুতে পারেন? তাই খাট, চৌকি নো এন্ট্রি। ঘর বা বারান্দায় মাটি জমিয়ে উঁচু করে তারওপরই বিছানা পেতে শোওয়ার ব্যবস্থা গ্রামে।
এই সংস্কার কবেকার, কেউ জানে না। ইতিহাস কি বলছে, তা নিয়েও পীরপাল গ্রামের মাথা ব্যাথা নেই। তাদের সহজ বিশ্বাস, আজও গ্রামের পথে ঘাটে ঘুরে বেড়ান পীরসাহেব। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সেই বিশ্বাসই আঁকড়ে রয়েছেন পীরপালের বাসিন্দারা।