আত্মঘাতী যুবকের দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিস
এবার কোচবিহারের হরিণচওড়ায় আক্রান্ত পুলিস। আত্মঘাতী যুবকের দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিস হামলার মুখে পড়ে। অবশ্য পুলিসের কাঁধেই সব দোষ চাপিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও এর উল্টো বক্তব্যই মিলেছে যুবকের সুইসাইড নোটে। মৃত্যুর আগে ফেসবুকে সেই নোট আপলোডও করে জিন্নাতুল্লা রোহিত। অভিযোগ উঠছে, পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বেই হামলা হয়। এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: এবার কোচবিহারের হরিণচওড়ায় আক্রান্ত পুলিস। আত্মঘাতী যুবকের দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিস হামলার মুখে পড়ে। অবশ্য পুলিসের কাঁধেই সব দোষ চাপিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও এর উল্টো বক্তব্যই মিলেছে যুবকের সুইসাইড নোটে। মৃত্যুর আগে ফেসবুকে সেই নোট আপলোডও করে জিন্নাতুল্লা রোহিত। অভিযোগ উঠছে, পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বেই হামলা হয়। এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিসের কাছে খবর যায় হরিণচওড়া গ্রামের এক যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌছয় পুলিস। কিন্তু গাড়ি থেকে নামতে না নামতেই পুলিসের ওপর হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। আহত হন চার পুলিসকর্মী।
খবর পেয়ে বিশাল পুলিসবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি হেডকোয়ার্টার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। অভিযোগ উঠছে, হামলার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল কাদের হক। পুলিসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা আজিজুল হকও। হরিণচওড়া গ্রামের যুবক জিন্নাতুল্লা রোহিত স্থানীয় সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ, এরপরেই তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে তিনি জানিয়েও ছিলেন একথা । কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। আত্মঘাতী যুবকের সুইসাইড নোট পাওয়ার পরেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়।
সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে....
.....কবীর হোসেন ও ছেলের বউ মর্জিনা বিবি আমাদের নামে হাইকোর্টে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের গ্রামের প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি.....
তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অবশ্য এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেননি।
যদিও এই দাবির উল্টো কথাই বলছে জিন্নাতুল্লার সুইসাইড নোট। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঢাকতেই কী পুলিসকে দোষারোপ ? প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় মানুষ।