'ছবি হয়ে যাবে', মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অধীরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের পুলিসের
অধীরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করল পুলিস। ১০টি ধারায় অধীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩টি জামিন অযোগ্য ধারা।
বহরমপুর: অধীরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করল পুলিস। ১০টি ধারায় অধীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩টি জামিন অযোগ্য ধারা।
মঙ্গলবার কংগ্রেসের ডাকা বাংলা বনধে, অধীরের 'স্যান্ডো বিপ্লবে' অগ্নিগর্ভ হয় রাজ্য। কোথাও বাস ভাঙচুর, কোথাও অবস্থান বিক্ষোভ, আবার কোথাও তৃণমূল ও কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্য খণ্ডযুদ্ধ। পরিস্থিত বাগে আনতে হিমসিম খায় প্রশাসন। 'চালা গুলি...', জামা খুলে রাস্তায় পুলিসকে চ্যালেঞ্জ, কার্যত চ্যালেঞ্জ ছিল নবান্নকেই। অধীরের 'স্যান্ডো বিপ্লব'কে কটাক্ষ করে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "যা সৌরভকে মানায়, তা সবাইকে মানায় না। ছবি তুলতে গিয়েই তিনি এই কাজ করেছেন"। নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় বেশি ছবি তুললে, "ছবি হয়ে যাবে"। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অধীর রঞ্জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করল পুলিস।
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, বিরোধিতা করলেই কি শাসকের রক্তচক্ষুর সামনে পড়তে হবে বিরোধীদের? অধীর রঞ্জনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দান, গুরুতর আঘাত, খুনের চেষ্টা এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ এনে ১০টি ধারায় মামলা করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে কাকে খুন করতে চেয়েছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী? আর যদি তা নাই হয়, তাহলে কেন খুনের অভিযোগে মামলা করল পুলিস? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর 'স্যান্ডো বিপ্লবে' মঙ্গলবার ব্যাকফুটেই ছিল রাজ্য প্রশাসন। তার ওপর হুমকির সুরেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেছে, "ছবি হয়ে যাবে"। যেমন কথা তেমন কাজ। মঙ্গলবার অধীরের 'স্যান্ডো
বিপ্লব', আর বুধবারই তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা।
মামলা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন অধীর রঞ্জন। তিনি বলেন,"পুরটাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হচ্ছে। মঙ্গলবার বহরমপুর জেলা শাসকের দপ্তরে বসেই এই চক্রান্ত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতই আমার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে"।