হাবড়ায় বিডিওকে হুমকির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা
হাবড়ায় বিডিওকে হুমকির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। অভিযোগ পেয়েও পুলিস ব্যবস্থা নিতে কেন দুদিন দেরি করল, এসপি-র কাছে তা জানতে চেয়েছেন জেলাশাসক। প্রশ্ন উঠছে, কারোর চাপেই কী অভিযোগের বয়ান বদলেছেন বিডিও?
হাবড়ায় বিডিওকে হুমকির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। অভিযোগ পেয়েও পুলিস ব্যবস্থা নিতে কেন দুদিন দেরি করল, এসপি-র কাছে তা জানতে চেয়েছেন জেলাশাসক। প্রশ্ন উঠছে, কারোর চাপেই কী অভিযোগের বয়ান বদলেছেন বিডিও?
রবিবারই হাবড়ায় বিডিওকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ধৃত তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা লঘু করার অভিযোগ উঠেছিল পুলিসের বিরুদ্ধে। আদালতকে পাঠানো ফরওয়ার্ডিং চিঠিতে পুলিসের পক্ষে জানানো হয়, বিডিওর সঙ্গে শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে ধৃতদের। তারপরই জামিন পেয়ে যান দশ অভিযুক্ত। সোমবার পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ জেলাশাসক। পঁচিশ তারিখ ঘটনার পরই মহকুমাশাসক ও জেলাশাসকের কাছে দুটি অভিযোগপত্র পাঠিয়েছিলেন বিডিও দীনবন্ধু গায়েন। ছব্বিশ তারিখ পুলিসকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।
কিন্তু, এফআইআর দায়ের হয় আটাশ তারিখ। সোমবার পুলিস সুপারের কাছে দুদিন দেরির কারণ তলব করেছেন জেলাশাসক। তাঁকে লিখিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, কেন দুটি অভিযোগ করেছেন সোমবার বিডিওর কাছে জানতে চান জেলাশাসক।
প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও, জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর বিডিও জানিয়েছেন,ঘটনা শুরুর সময় তিনি ছিলেন না। আসার পর দেখেছেন প্রথম অভিযোগ পত্রে তাই লিখেছিলেন। পরে গোটা বিষয়টি নিয়ে ভেবেচিন্তে ঠান্ডা মাথায় দ্বিতীয়বার অভিযোগ দায়ের করেন
অন্যদিকে, হাবড়ার কাণ্ডে দলীয় বিধায়কের পাশেই দাঁড়িয়েছে দল।
সোমবার এঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করলেও শেষপর্যন্ত জামিন পেয়ে যান তারাও। যেভাবে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে তানিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে সরকারের।