নদিয়ায় দলীয় সমর্থকের মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর
নতুন সরকারের আমলে এই প্রথম পুলিসের গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। আর সেই অভিযোগটাও এল জোটসঙ্গী কংগ্রেসের তরফ থেকে।
নদিয়ার হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের দুই শরিকের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।
গতকাল সরকারের তরফে জানান হয়েছিল,একদল দুষ্কৃতী পুলিসের উপর চড়াও হয়ে রাইফেল কাড়ার চেষ্টা করে।
সে সময় এক দুষ্কৃতীর হাত ট্রিগারে পরে গুলি ছুটে গিয়েই মারা যান গৃহবধু রাজেশ্বরী মল্লিক।
সরকারি বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন,পুলিসের গুলিতেই মারা গিয়েছেন তাঁদের দলের কর্মী রাজেশ্বরী মল্লিক।
ক্ষুব্ধ প্রদীপবাবুর প্রশ্ন,পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়নি বলে কারা রটাচ্ছে। এ ব্যাপারে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
পুলিসের গুলিতে দলীয় সমর্থকের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ নদিয়ার বগুলায় কংগ্রেসের ডাকে বনধ চলছে।
নতুন সরকারের আমলে এই প্রথম পুলিসের গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল।
আর সেই অভিযোগটাও এল জোটসঙ্গী কংগ্রেসের তরফ থেকে।
শুক্রবার রাতে বিসর্জন নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে জনতা-পুলিস খণ্ডযুদ্ধের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কংগ্রেস কর্মী রাজেশ্বরী মল্লিক।
পুলিস জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বাস-সহ নজনকে গ্রেফতার করেছে।
প্রশাসনের তরফে অবশ্য পুলিসের গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলে হয়েছে,একদল দুষ্কৃতী পুলিসের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
সে সময় ট্রিগারে এক দুষ্কৃতীর হাত পড়ে গিয়ে গুলি বেরিয়ে যায়।
তবে গতকালই তিন পুলিসকর্মীকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করে ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়।