কিষান বিকাশ পত্রের চরম সঙ্কটে রাজ্য, চাহিদা থাকলেও ডাকঘরে মাথা খুঁড়েও মিলছে না সার্টিফিকেট

রাজ্যজুড়ে কিষান বিকাশ পত্রের সঙ্কট চরমে। ডাকঘরে মাথা খুঁড়ে মিলছে না সার্টিফিকেট। পশ্চিমবঙ্গের আকাশছোঁয়া চাহিদা অনুযায়ী কিষান বিকাশ পত্র ছাপতে গিয়ে ঘোর বিপাকে নাসিকের সিকিউরিটি প্রেস। মাথায় হাত ডাক কর্তাদের।

Updated By: Oct 7, 2015, 10:05 AM IST
কিষান বিকাশ পত্রের চরম সঙ্কটে রাজ্য,  চাহিদা থাকলেও ডাকঘরে মাথা খুঁড়েও মিলছে না সার্টিফিকেট

ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে কিষান বিকাশ পত্রের সঙ্কট চরমে। ডাকঘরে মাথা খুঁড়ে মিলছে না সার্টিফিকেট। পশ্চিমবঙ্গের আকাশছোঁয়া চাহিদা অনুযায়ী কিষান বিকাশ পত্র ছাপতে গিয়ে ঘোর বিপাকে নাসিকের সিকিউরিটি প্রেস। মাথায় হাত ডাক কর্তাদের।

সারদা, রোজভ্যালি, এমপিএস। একের পর এক ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছেন রাজ্যের অসংখ্য মানুষ। খুইয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে গত বছরের নভেম্বরে নতুন করে কিষান বিকাশ পত্র বাজারে ছাড়ে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলও মেলে হাতেনাতে।

একশো মাসে ডবল সঞ্চয়ের টাকা। ফলে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প। ডাক বিভাগ সূত্রে খবর, কিষান বিকাশ পত্র কেনায় এ রাজ্য দেশের মধ্যে প্রথম। পয়লা এপ্রিল থেকে একত্রিশে জুলাই। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম চার মাসে রাজ্যের বিভিন্ন ডাকঘর থেকে বিক্রি হয়েছে প্রায় চব্বিশ লাখ সার্টিফিকেট। কিষাণ বিকাশ পত্রে বিনিয়োগের অঙ্কেও প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম চার মাসে এই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে চারশো ষোলো কোটি টাকা জমা করেছেন এ রাজ্যের বাসিন্দারা।

কিন্তু এই পরিস্থিতিতে খুশি হওয়ার জো নেই ডাক কর্তাদের। তাঁদের এখন মাথার চুল ছেঁড়ার জোগাড়। কারণ, চাহিদা বাড়ায় দেখা দিয়েছে জোগানের ঘাটতি। সারা দেশে একমাত্র নাসিকের সিকিউরিটি প্রেসেই ছাপা হয় কিষাণ বিকাশ পত্র।

গত এক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন ডাকঘরে কিষাণ বিকাশ পত্র কিনতে প্রায় তিরিশ লাখ আবেদন পত্র জমা পড়েছে। টাকার অঙ্কে যা কয়েকশো কোটি। দশ হাজার টাকার সার্টিফিকেটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যে কিষাণ বিকাশ পত্রের চাহিদা প্রায় চার গুণ বেড়ে যাওয়ায় জোগান দিতে পারছে না নাসিকের সরকারি প্রেস। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে পরিকাঠামো নেই। ফলে, মাসে সাত থেকে আট লাখের বেশি কিষাণ বিকাশ পত্র এ রাজ্যে পাঠানো সম্ভব নয়।  

বাড়তি সার্টিফিকেট চেয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডাক-কর্তাদের বেশকয়েক প্রস্থ চিঠি চালাচালি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডাককর্তাদের ভরসা এনএসসি। কিষাণ বিকাশ পত্রের চাপ আপাতত এনএসসি দিয়েই সামলাতে চাইছেন ডাক-কর্তারা।

.