তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির গাড়ি থেকে গুলি, মৃত্যু হল দুজনের
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির গাড়ি থেকে গুলি। মৃত্যু হল দুজনের। গ্রেফতার পবিত্র রায় নামে ওই তৃণমূল নেতা। পুলিসের দাবি, তাঁর গাড়ি থেকে যে গুলি চলেছিল, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। ঘটনাকে ঘিরে ধুন্দুমার মালদার ইংরেজবাজার। আজ ধৃত তৃণমূল নেতাকে আদালতে তোলা হবে।
ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির গাড়ি থেকে গুলি। মৃত্যু হল দুজনের। গ্রেফতার পবিত্র রায় নামে ওই তৃণমূল নেতা। পুলিসের দাবি, তাঁর গাড়ি থেকে যে গুলি চলেছিল, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। ঘটনাকে ঘিরে ধুন্দুমার মালদার ইংরেজবাজার। আজ ধৃত তৃণমূল নেতাকে আদালতে তোলা হবে।
ইংরেজবাজারের কাজির গ্রামের কাছে ফুটবল ম্যাচ। সেই ম্যাচ দেখে সদলবলে ফিরছিলেন ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পবিত্র রায়। ফেরার পথে এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে পবিত্র রায়ের গাড়ি। বাইক নিয়ে গাড়িটিকে ধাওয়া করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। কুলিপাড়ার কাছে গাড়িটিকে আটকে দেন গ্রামবাসীরা। গাড়ির চালককে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করে।
বচসা দেখে এগিয়ে আসেন স্থানীয় কয়েকজন। তখনই তৃণমূল নেতা পবিত্র রায়ের গাড়ি থেকে দু রাউন্ড গুলি চলে। গুলি লাগে অসীম মণ্ডল নামে এক কিশোরের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। রাহুল পাসোয়ন নামে আরও এক কিশোপ গুলিবিদ্ধ হন। কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁরও মৃত্যু হয়। গুলি চলার পরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালান স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়ি ফেলে রেখে পালায় গাড়ির সওয়ারিরাও। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। দোষীদের কড়া শাস্তির প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অভিষেক মোদীর নেতৃত্বে পুলিসের বিশাল বাহিনী। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
ঘটনার তদন্তে জেলা পুলিস সুপার প্রসূন ব্যানার্জি নিজে। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা পবিত্র রায়কেই। পুলিস সুপারের দাবি, পবিত্র রায় স্বীকার করেছেন, আত্মরক্ষার জন্য তাঁর গাড়ি থেকেই গুলি চালানো হয়েছিল। সম্ভবত, পবিত্র রায়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলবার থেকেই গুলি চলেছে। প্রশ্ন উঠছে, একজন সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মেরে কেন পালিয়ে যেতে গেলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা এলাকার তৃণমূল নেতা? তৃণমূল নেতার গাড়ি যখন আটক করেন গ্রামবাসীরা, তখন কেন বিষয়টি আলোচনায় মিটিয়ে নিলেন না পবিত্র রায়? সে সময় গুলি চালানোর নির্দেশ কে দিল? আর কেই বা গুলি চালাল? সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস।