তীব্র সমস্যায় ভিনজেলায় পাড়ি দিচ্ছেন বাঁকুড়ার ক্ষেতমজুররা
অনাবৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে ধান রুইয়ে দু পয়সা রোজগারের স্বপ্ন। প্রতিশ্রুতির জালে আটকা পড়েছে একশ দিনের কাজ। দুমুঠো খুদকুড়ো জোটাতে একরকম বাধ্য হয়েই ভিনজেলায় পাড়ি দিচ্ছেন বাঁকুড়ার ক্ষেতমজুররা। পূব খাটতে রওনা দিচ্ছেন বর্ধমান আর হুগলির উদ্দেশে। একদিকে অনাবৃষ্টিতে বহু জমিতে ধান রোয়া সম্ভব হয়নি।
অনাবৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে ধান রুইয়ে দু পয়সা রোজগারের স্বপ্ন। প্রতিশ্রুতির জালে আটকা পড়েছে একশ দিনের কাজ। দুমুঠো খুদকুড়ো জোটাতে একরকম বাধ্য হয়েই ভিনজেলায় পাড়ি দিচ্ছেন বাঁকুড়ার ক্ষেতমজুররা। পূব খাটতে রওনা দিচ্ছেন বর্ধমান আর হুগলির উদ্দেশে। একদিকে অনাবৃষ্টিতে বহু জমিতে ধান রোয়া সম্ভব হয়নি। ভরসা করে যেটুকু বা ফসল বোনা গিয়েছিল, জলের অভাবে মাঠেই শুকিয়েছে সে ধান। একমাত্র ভরসা ছিল একশ দিনের কাজ। কিন্তু সে গুড়েও বালি।
ফলে একরকম বাধ্য হয়েই পরিবার-পরিজন নিয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে ভিনজেলায় পাড়ি দিতে হচ্ছে অচিন্ত্য বাউরি, আনোয়ার খানদের। শিকেয় উঠেছে সন্তানদের পড়াশোনা।
গোটা ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের জেলাস্তরীয় মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান।
একশ দিনের কাজ যে সেভাবে হয়নি সেকথা কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন জেলাশাসক। জানিয়েছেন ভবিষ্যত্ পরিকল্পনার কথা। প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি আর ভরসা জোগাতে পারছে না ক্ষেতমজুরদের। বেঁচে থাকার ন্যূনতম রসদটুকু জোগাড় করতে দলে দলে গ্রাম ছাড়ছেন তাঁরা।