সিঙ্গুরে জমি ফিরলেও যাচ্ছে না উদ্বেগ!

উত্‍সবের রেশ মেলাতেই উঁকি দিচ্ছে উদ্বেগ। জমি ফিরলেও, ফিরবে কি সোনার ধানের সোনালী দিনগুলি। নতুন দুশ্চিন্তায় ডুবে সিঙ্গুরবাসী। বুধবার ছিল সৌভাগ্যের রাত। মেঘ কেটেছে। কাশফুল দেখা দিয়েছে। দশ বছর পর ফের উত্‍সবের উপলক্ষ্য ফিরেছে সেখানে। সিঙ্গুরে শুরু হয়েছে নতুন সকাল।

Updated By: Sep 1, 2016, 10:02 PM IST
সিঙ্গুরে জমি ফিরলেও যাচ্ছে না উদ্বেগ!

ওয়েব ডেস্ক : উত্‍সবের রেশ মেলাতেই উঁকি দিচ্ছে উদ্বেগ। জমি ফিরলেও, ফিরবে কি সোনার ধানের সোনালী দিনগুলি। নতুন দুশ্চিন্তায় ডুবে সিঙ্গুরবাসী। বুধবার ছিল সৌভাগ্যের রাত। মেঘ কেটেছে। কাশফুল দেখা দিয়েছে। দশ বছর পর ফের উত্‍সবের উপলক্ষ্য ফিরেছে সেখানে। সিঙ্গুরে শুরু হয়েছে নতুন সকাল।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে জমি ফেরানোর নির্দেশ আসলেও, জমি কি আর আগের মতোই আছে? ইট, পাথর বা কংক্রিটের মাঝে সেখানে কী করে মাথা তুলবে আবার সোনার ফসল? সেখানরকার কৃষকদের প্রশ্ন সরকার সব দাবি মেনে নিলেই কি সব হিসেব মিলে যাবে? মৌজা, গ্রাম, আটচালায় এখন এটাই আলোচ্য। দশ বছরে অনেক কিছুই বদলে গেছে। দশ বছর আগে সিঙ্গুর বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখাত যান সেখানকার বাসিন্দা বৈদ্যনাথ কোলে। পুলিসের লাঠিতে এখন তিনি প্রায় পঙ্গু। পেরিয়ে গেছে মূল্যবান ১০টা বছর। একদিকে উচ্ছ্বাসে ফুটছে সিঙ্গুর। অন্যদিকে উঁকি দিচ্ছে উদ্বেগও।   

আগে সকলেই চাষি ছিলেন। এখন কেউ চাষি, কেউ দোকানি। কারও পেট চলে মাছ বিক্রি করে। কেউ কিছুই করেন না। দশ বছরে জীবনের গতিটাই বদলে গেছে। জমি ফেরতের খবর তাই নতুন দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে সিঙ্গুরবাসীর মধ্যে। রবি ঠাকুরের পঙক্তি ধার করে প্রশ্ন করা যায়, ছেঁড়া শিকড় পাবে কি আর পুরনো তার মাটি?

.